Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
National News

২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট

ভ্রুণের বয়স যখন ২৩ সপ্তাহ, তখন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বারাসতের এক তরুণ দম্পতি। কারণ মেডিক্যাল রিপোর্ট জানান দিচ্ছিল, স্বাভাবিক নয় তাঁদের গর্ভস্থ সন্তান। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, ভ্রূণের হৃৎপিণ্ডে রয়েছে বড়সড় সমস্যা।

দেশের আইন অনুযায়ী ভ্রূণের বয়স ২০ সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলে গর্ভপাত আইনত অবৈধ।—ফাইল চিত্র।

দেশের আইন অনুযায়ী ভ্রূণের বয়স ২০ সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলে গর্ভপাত আইনত অবৈধ।—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৭ ১৬:১০
Share: Save:

অবশেষে মিলল অনুমতি। ভ্রূণের অস্বাভিকতার মাত্রা বিবেচনা করে ২৬ সপ্তাহেও গর্ভপাতের অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ভ্রুণের বয়স যখন ২৩ সপ্তাহ, তখন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বারাসতের এক তরুণ দম্পতি। কারণ মেডিক্যাল রিপোর্ট জানান দিচ্ছিল, স্বাভাবিক নয় তাঁদের গর্ভস্থ সন্তান। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, ভ্রূণের হৃৎপিণ্ডে রয়েছে বড়সড় সমস্যা। শিশুর জন্মের পর তিন মাসের মধ্যে একাধিক বার ওপেন হার্ট সার্জারি করাতে হবে। তার পরেও সে বাঁচবে কি না, তা অনিশ্চিত।

এই কারণেই গর্ভপাতের আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই দম্পতি। এ দেশের আইন অনুযায়ী ভ্রূণের বয়স ২০ সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলে গর্ভপাত আইনত অবৈধ। কেন্দ্রীয় সরকার এই সময়সীমা বাড়ানোর জন্য ভাবনাচিন্তা শুরু করলেও, তার রূপায়ণ হয়নি এখনও।

আরও পড়ুন: ভেজা মরুভূমি, বৃষ্টির ঘাটতি সবুজ বাংলায়

বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য ২০ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেক্ষেত্রে মা ও শিশুর শারীরিক অবস্থার গুরুত্ব বিবেচনা করে অনুমতি দেয় শীর্ষ আদালত। জরুরি ভিত্তিতে কোনও মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করে চিকিৎসকদের পরামর্শের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ ক্ষেত্রেও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কউলের বেঞ্চ ওই দম্পতির আর্জি শুনে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েছিল। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে মত জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। অবশেষে সোমবার ওই দম্পতির আর্জিতে সম্মতি জানায় কোর্ট।

আরও পড়ুন: বদলিতে ক্ষোভ নেই, বাহরাইচে আমন্ত্রণ, ফেসবুকে সেই পুলিশ অফিসার শ্রেষ্ঠা

এর আগেও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রস্তাব ছিল, ২০ সপ্তাহ সময়সীমাটি বাড়িয়ে ২৪ সপ্তাহ করা হোক। শুধু বিবাহিত দম্পতি নয়। অবিবাহিত মহিলাদেরও গর্ভপাতের ছাড়পত্র দেওয়ার কথা বলেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কিন্তু তাতে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর বলেছে, এর ফলে গর্ভপাতের চক্রগুলির বাড়বাড়ন্ত হতে পারে। লিঙ্গ নির্ধারণের পর ভ্রূণ হত্যাও বাড়তে পারে। দু’পক্ষের টানাটানির ফলে বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE