প্রতীকী ছবি
জ্ঞান ফিরেছে। ডাবের জলে চুমুক দিয়ে চার পাশে তাকিয়ে বলেছেন, ‘‘বেঁচে উঠলাম!’’ কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র চালিয়ে রাখার প্রয়োজন আর নেই। তাই ‘নতুন’ হৃদয়েই শ্বাস নিচ্ছেন বছর চল্লিশের হবিবর রহমান।
শুক্রবার হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনের পরে সুস্থ হয়ে উঠছেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা হবিবর। বৃহস্পতিবার তাঁর দেহে বসানো হয়েছে কোলাঘাটের সজল করের হৃৎপিণ্ড। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচারের পরে তাঁকে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এ দিন তাঁর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে আর ভেন্টিলেশনে না-রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে সংক্রমণ এড়াতে বিশেষ নজরদারি বজায় আছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, হবিবরকে এ দিন ডাবের জল খেতে দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতির ধারা বুঝে তাঁকে কখন কী ধরনের খাবার দেওয়া যায়, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মেডিক্যাল কলেজের সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘রোগী আপাতত সুস্থ। তিনি দ্রুত বাড়ি ফিরবেন বলেই আশা করা হচ্ছে।
এই হাসপাতালে পরপর সফল হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন এবং রোগীকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্পর্কে মানুষের নতুন ধারণা তৈরি করবে।’’ কয়েক সপ্তাহ আগে মেডিক্যালে প্রথম হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন হয়। সেই গ্রহীতা এখন সুস্থ। রাজ্যের ষষ্ঠ হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন সফল হওয়ার পরে অঙ্গ প্রতিস্থাপনে সাফল্যের হার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে বলে স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি।
সুস্থ আছেন বারুইপুরের বাসিন্দা বছর আটত্রিশের জয়প্রতিম ঘোষ। বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে সজলের যকৃৎ বসানো হয়েছে জয়প্রতিমের দেহে। এ দিন এসএসকেএম সূত্রে জানা যায়, জয়প্রতিমেরও শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। সংক্রমণ রুখতে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy