কোথাও প্রধান সড়কে, কোথাও আবার সেতু সংলগ্ন এলাকায় বসানো হয়েছে ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন। সেই সঙ্গে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে টহলদারি। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে অসম পথে কারা যাতায়াত করছে সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরে ওই নজরদারি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কয়েকগুণ। পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া হচ্ছে সিসিটিভি। এমনিতেই অসম থেকে কোচবিহারে বা উত্তরবঙ্গে জঙ্গিদের আনাগোনা রুখতে পুলিশ আগাগোড়াই তৎপর। দিন কয়েক আগে শিলিগুড়িতে গ্রেটার কোচবিহার লিবারেশন অর্গানাইজেশনের ৪ জন সসদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর থেকে আরও নজরদারি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, “অসম সীমান্তে নজরদারি রয়েছে।”
অসম অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়েই মঙ্গলবার কোচবিহার চ্যাংরাবান্ধায় প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁর উদ্বেগের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, দিন কয়েকের মধ্যে অসমে ‘পুশব্যাক’ শুরু হতে পারে। সেক্ষেত্রে অসম সীমান্তের দিকে নজরদারি রাখতে বলেন তিনি। সেই সঙ্গে নিয়মিত ওই অবস্থার রিপোর্ট দিতেও নির্দেশ দেন জেলা পুলিশ আধিকারিকদের। ওই প্রশাসনিকন বৈঠকে রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র থেকে শুরু করে কোচবিহারের পুলিশ সুপার পর্য়ন্ত উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা ওই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান। জেলার এক পুলিশ কর্তা বলেন, “অসম সীমান্তে বরাবর নজরদারিতে জোর দেওয়া হয়। এ ছাড়া সীমান্তের ওপাশে কী অবস্থা তা নিয়েও খোঁজ রাখা হয়। প্রয়োজন অনুসারে ব্যবস্থা হয়।”
কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার সুই জেলার সঙ্গেই অসম সীমান্ত রয়েছে। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বক্সিরহাট হয়ে অসমে যাতায়াত করা যায়। এ ছাড়া আলিপুরদুয়ারের বারোবিষা হয়েও অসমে যাতায়াত করা যায়। কিছু জঙ্গলপথও রয়েছে। অসমের সঙ্গে কোচবিহারের সম্পর্ক বরাবরের। বিশেষ করে নিম্ন অসমের বাসিন্দারা চিকিৎসা থেকে শুরু করে যে কোনও কাজেই কোচবিহারে যান। অসমের অনেক বাসিন্দারি কোচবিহারে আত্মীয়তা রয়েছে। দুই রাজ্যের মধ্যে বিবাহসূত্রেও অনেকে আবদ্ধ। যারা নিয়মিত অসম-বাংলা যাতায়াত করেন। অসমে অনুপ্রবেশ সমস্যা শুরু হওয়ার পর সেই বাসিন্দাদের অনেকেই আশঙ্কায় রয়েছেন।
প্রশাসন সূত্রের খবর, সবদিক ভেবেই অসম সমস্যা নিয়ে এ রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা উদ্বিগ্ন। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “কী পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছের সেই রিপোর্ট আমরা নিয়মিত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। সেই নির্দেশ মতোই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy