ট্যাব-কাণ্ডে এ বার তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য। স্কুল শিক্ষা দফতরের নির্দেশে বিভাগীয় তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ইতিমধ্যেই ওই তিন শিক্ষককে শো কজ় করা হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে।
সরকারি স্কুলের একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য রাজ্য যে টাকা দেয় তাদের অ্যাকাউন্টে, তা সেখান থেকে গায়েব হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে তিন শিক্ষকের নাম। পুলিশের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। অভিযুক্ত তিন শিক্ষকের মধ্যে দু’জন পূর্ব বর্ধমানের, এক জন মুর্শিদাবাদের এক স্কুলের শিক্ষক। অভিযোগ, তাঁরা এই সরকারি প্রকল্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত নোডাল অফিসার হয়েও অন্যের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। বহু ক্ষেত্রে যাচাইয়ের সময়ে ভুয়ো তথ্য দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন:
রাজ্য সরকারি স্কুলগুলির একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াশোনার সুবিধার্থে ট্যাব কেনার জন্য সরকার ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প চালু করেছিল। এই প্রকল্পের অধীনে এককালীন ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। আবেদনকারীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি সেই টাকা চলে যায়। স্কুলের মাধ্যমেই করা হয় আবেদন। অভিযোগ, গত বছর রাজ্যের অনেক পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা প্রবেশ করেনি। বরং তা চলে গিয়েছে অন্য কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। টাকা প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে এটিএম থেকে সেই টাকা তুলেও নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই তদন্তে নেমে অন্তত ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক থেকে কৃষক, সকলেই রয়েছেন। তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, বিভিন্ন সাইবার ক্যাফে থেকে স্কুলের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলে দেওয়া হয়েছে। যারা ট্যাবের টাকা পায়নি, তাদের ট্যাব কেনার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।