উত্তরপ্রদেশের মেরঠে মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতকে খুনের পর ১৫ দিনের জন্য হিমাচল প্রদেশের শিমলা-মানালি ভ্রমণে গিয়েছিলেন স্ত্রী মুস্কান রস্তোগী ও তাঁর প্রেমিক সাহিল শুক্ল। যাঁর গাড়িতে তাঁরা ১৫ দিন ধরে ঘুরেছিলেন, এ বার মুখ খুললেন সেই ক্যাবচালক। জানালেন, আর পাঁচজনের মতোই ঘুরছিলেন ওই যুগল, বার কয়েক গাড়িতে মদ্যপানও করেছিলেন। দেখে এক বারের জন্যও মনে হয়নি তাঁরা সদ্য এক যুবকের খুন করে এসেছেন! মুস্কানদের যাত্রার সমস্ত বিবরণ প্রকাশ্যে আসার পরেই ফের শুরু হয়েছে চর্চা।
আরও পড়ুন:
শিমলায় যাঁর গাড়িতে করে ঘুরেছিলেন মুস্কান-সাহিল, সেই ক্যাবচালকের নাম আজব সিংহ। আজব জানিয়েছেন, শিমলা ও মানালির পুরো যাত্রায় একে অপরের সঙ্গে বিশেষ কথা বলেননি মুস্কান ও সাহিল। তবে মুস্কানের মা দু’বার ফোন করেছিলেন। গাড়িতেই মায়ের সঙ্গে ফোনে অল্প কথা সারেন মুস্কান। তবে ওই ১৫ দিনে সাহিল রোজই মদ্যপান করতেন। হিমাচলে আসার পর প্রথমেই শামলি থেকে মদ কেনেন তাঁরা। মুস্কানকেও বার তিনেক বিয়ার খেতে দেখেছেন আজব। শুধু তা-ই নয়, গাড়িতে বিশেষ কথা না বললেও বেশ উৎসাহের সঙ্গেই শিমলায় হোলি উদ্যাপন করেছিলেন দু’জনে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী সৌরভকে খুনের পর ওই দিনই প্রেমিক সাহিলের সঙ্গে শিমলার উদ্দেশে রওনা দেন মুস্কান। এ জন্য গত ৪ মার্চ অনলাইনে একটি সুইফ্ট ডিজ়ায়ার গাড়ি অগ্রিম ভাড়া করেন তাঁরা। চালকের থেকেই জানা গিয়েছে, ১৫ দিন ধরে শিমলা ও মানালি ঘোরার জন্য মোট ৫৪ হাজার টাকা দিয়ে গাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন ওই যুগল। পাশাপাশি, মুস্কানের পাঠানো একটি অডিয়োবার্তাও প্রকাশ্যে এনেছেন ক্যাবচালক আজব। শিমলায় একটি হোটেলে থাকাকালীন আজবকে হোয়াট্সঅ্যাপে অডিয়োবার্তাটি পাঠিয়েছিলেন মুস্কান। তাতে বলা হয়েছে, হোটেলে তাঁদের নিতে আসার সময় সাহিলের জন্মদিন উপলক্ষে আজব যেন গোপনে একটি কেক কিনে নিয়ে আসেন। প্রেমিককে জন্মদিনে কেক উপহার দিয়ে চমকে দিতে চেয়েছিলেন মুস্কান! মুস্কানের ওই অডিয়োবার্তা ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে। আর একটি ভিডিয়োতে মুস্কানকে কসৌলে সাহিলের জন্মদিন পালন করতে দেখা গিয়েছে (যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কেক খাইয়ে দেওয়ার আগে প্রেমিককে চুম্বন করছেন মুস্কান।
আরও পড়ুন:
গত ৪ মার্চ রাতে প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামী সৌরভকে খুন করেন মুস্কান। তার পর দু’জন মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সৌরভের দেহ ১৫ টুকরো করে একটি ড্রামে দেহাংশগুলি ভরে সিমেন্ট ঢেলে দেন। পরের দিন মেয়েকে বাপের বাড়িতে রেখে শিমলা চলে যান তরুণী।