নিজস্ব চিত্র।
ভোটের ফল প্রকাশের পরে, অন্যত্র পুর-বোর্ড কারা গড়বেন স্পষ্ট হলেও, রাজ্যের চার পুরসভা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা, হুগলির চাঁপদানি এবং পুরুলিয়ার ঝালদা আপাতত ‘ত্রিশঙ্কু’। সেগুলিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই কারও। পুর-বোর্ড গড়ার ব্যাপারটা অনেকটাই নির্ভর করছে নির্দলদের গতিবিধির উপরে। এই নির্দলদের একটা বড় অংশ আবার শাসক দলেরই ‘বিক্ষুব্ধ’ বলে এলাকায় পরিচিত।
বুধবার ফলপ্রকাশের পরে দেখা যায়, এগরার ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে সাতটিতে জিতেছে তৃণমূল। বিজেপি পেয়েছে পাঁচটি, কংগ্রেস একটি এবং নির্দল একটিতে জয়ী। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী নির্দল প্রার্থী রামচন্দ্র পন্ডা প্রকৃতপক্ষে ‘বিক্ষুব্ধ’ তৃণমূল নেতা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বেরও অনুমান, কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী নির্মল শিটের বদলে, রামচন্দ্রকে কাছে টানতে তুলনায় সুবিধা হবে তাঁদের। তবে হাল ছাড়ছে না বিজেপি। তাদের দাবি, এখন তৃণমূল বোর্ড গড়লেও, পরে, তারা সেটি ভেঙে দিতে পারবে। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিত বলছেন, ‘‘ওই ব্যাপারে পরে দলীয় ভাবে আলোচনা হবে।’’
১৪ সদস্যের বেলডাঙা পুরসভায় তৃণমূলের সাত জন জিতেছেন। বিজেপির প্রার্থীরা জয়ী তিনটিতে। জিতেছেন চার নির্দল। চার নির্দলের মধ্যে প্রাক্তন পুরপ্রধান ভরত ঝাওর এবং তাঁর দুই ‘অনুগামী’ জিতেছেন মই প্রতীকে, তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে। বেলডাঙার তৃণমূল বিধায়ক হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, তাঁরা ভরত ও তাঁর ‘অনুগামী’দের পক্ষে টেনে বোর্ড গড়তে আগ্রহী নন। তা হলে বোর্ড গড়ার কী হবে? হাসানুজ্জামানের জবাব, ‘‘সময়ে জানতে পারবেন।’’
হুগলির চাঁপদানি পুরসভায় ২২টি ওর্য়াডের তৃণমূল ১১টিতে জিতেছে। তৃণমূলের ‘বিক্ষুব্ধ’ নির্দলেরা পেয়েছেন ১০টি এবং কংগ্রেস একটি আসন। নির্দলদের তরফে জিতেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘আমরা কেউ তৃণমূলের বিরুদ্ধে নয়। সবাই দিদির (তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের) পক্ষে। তবে চেয়ারম্যান পদ থেকে সুরেশ মিশ্রকে সরাতে হবে।’’ তৃণমূল নেতা সুরেশ বলেন, ‘‘দলের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি।’’
গত পুরভোটে নিরঙ্কুশ ভাবে ক্ষমতা দখল করলেও, এক বছরের মধ্যে পুরুলিয়ার ঝালদা পুর-বোর্ডের ক্ষমতা হারিয়েছিল কংগ্রেস। তাদের সাত জন কাউন্সিলরের মধ্যে ছ’জন শাসক দলে যোগ দেন। এ বার ১২টির মধ্যে তৃণমূল ও কংগ্রেসের প্রার্থীরা পাঁচটি করে ওয়ার্ডে এবং দুই ওয়ার্ডে নির্দল জিতেছেন। তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে জয়ী নির্দল প্রার্থী শিলা চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ‘‘তৃণমূলে যোগ দিচ্ছি।’’ অন্য নির্দল প্রার্থী তথা তৃণমূলের ‘বিক্ষুব্ধ’ সোমনাথ কর্মকার সিদ্ধান্ত জানাননি। কী হবে ঝালদায়? জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার বক্তব্য, ‘‘রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী, পদক্ষেপ করা হবে।’’ পক্ষান্তরে, জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেছেন, ‘‘পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, দেখা যাক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy