অনুসরণ: অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এর একটু পরে সেখান থেকে বেরিয়ে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
শেষ পর্যন্ত আলোচনাসভায় এসেও মুখ খুললেন না কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। আর বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত হাজিরই হলেনই না রবিবারের ‘বঙ্গ-রাজনীতিতে ধর্মের অবস্থান’ শীর্ষক আলোচনাসভায়।
তবে শোভনবাবুর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ওই আলোচনাসভায় বক্তৃতা করতে উঠে বলেন, ‘‘অনেক কিছু বলব ভেবে এসেছিলাম। আমাকে বলা হয়েছিল, অনুষ্ঠানটি অরাজনৈতিক। কিন্তু এখানে এসে দেখছি বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের দু’জন নেতা বসে রয়েছেন। ক্ষমা চাইছি সকলের কাছে। কিছু বলা সম্ভব নয় আমার পক্ষে।’’ দর্শকাসনে বসেছিলেন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া এবং অম্বুজ মহান্তি।
এর পরেই আলোচনাসভা ছেড়ে বেরিয়ে যান বৈশাখী। শোভনবাবুও তাঁর পিছু নেন। বেরনোর সময় শোভনবাবু বলেন, ‘‘অনুষ্ঠান তো শেষ হয়ে গেল। তাই চলে যাচ্ছি।’’ এ দিনের এই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে আরএসএস-এর ব্যবহার করা ‘ভারতমাতা’র ছবি নিয়ে আগেই বিতর্ক উঠেছিল। অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরনোর সময় শোভনবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘আমাকে যে আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছিল, তাতে আরএসএস-এর ভারতমাতার ছবি ছিল না।’’
আলোচনাসভায় এলেও তৃণমূলের এই ‘প্রভাবশালী’ নেতাকে লোকসভা ভোটের কাজে এখনও দেখা যায়নি। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী শোভনকে দলের কাজে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন। তবে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, ‘‘শোভনকে বারবার বলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও দলের কাজে তিনি অনুপস্থিত। দল ভোটের কাজে নেমেছে। কারও জন্য তো বসে থাকতে পারে না!’’ নিজে এই ভোট-পর্বে দলের কাজে নামবেন কি না, সে প্রশ্ন করা হলে এ দিন জবাব এড়িয়ে শোভন বলেন, ‘‘দেখতেও তো পাচ্ছেন সব। কোনও কিছুর মধ্যে আমি আছি? কেন এ সব জানতে চাইছেন?’’ তাঁর বেহালার বাড়িতে এ দিনই তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দক্ষিণ কলকাতার দলীয় প্রার্থীর কর্মিসভাতেও এ দিন গরহাজির ছিলেন শোভন।
ভোট-মরসুমে তিনি ঘর-বন্দি। কী ভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন পরিস্থিতিটা? এ প্রশ্নেও শুধু মৃদু হাসলেন একাধিক দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী ও মেয়র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy