সৌরভ চৌধুরী খুনের মামলায় ৮ জনের ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত। বাকি চার দোষীর মধ্যে এক জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং তিন জনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক। ওই খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত শ্যামল কর্মকার-সহ সুমন দাস, সুমন সরকার, অমল বারুই, সোমনাথ সর্দার, রতন সমাদ্দার, তাপস বিশ্বাস এবং তারক দাসকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা অনুযায়ী ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। রাকেশ বর্মণ নামে অন্য এক দোষীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং পলি মাইতি, রতন দাস এবং শিশির মুখোপাধ্যায় নামে অন্য তিন দোষীকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
গত ১৫ এপ্রিল শুক্রবার এই মামলার ১৩ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন বারাসত জেলা আদালতের সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক দামন প্রসাদ বিশ্বাস। শনিবার অভিযুক্তদের সাজা শোনানোর কথা থাকলেও পরে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। এই মামলায় বেকসুর খালাস পায় রাজসাক্ষী অনুপ তালুকদার। সাজাপ্রাপ্ত ১২ জনের মধ্যে ৯ জনকে খুন, অপহরণ ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। বাকি ৩ জনের বিরুদ্ধে খুনে সাহায্য করা, যোগসাজস ও খুনিদের আশ্রয় দেওয়ার অপরাধ প্রমাণিত হয়।
২০১৪-র ৪ জুলাই রাতে উত্তর ২৪ পরগনার বামনগাছিতে তাঁর বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সৌরভকে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে রেললাইনের ধারে রেখে যায় শ্যামল ও তাঁর দলবল। এলাকায় বেআইনি মদের কারবারের প্রতিবাদ করতে গিয়েই অকালে প্রাণ হারাতে হয় বিরাটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সৌরভকে। এই খুনের ঘটনায় রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
সে দিনের খবর পড়তে ক্লিক করুন
ছাত্রের দেহ উদ্ধার, উত্তাল বামনগাছি, রেল-সড়ক অবরোধ
এ দিন সাজা ঘোষণার পর সৌরভের দাদা সন্দীপ চৌধুরী বলেন, ‘‘আমরা খুশি। সকলকে ধন্যবাদ জানাই। এত দিন যে ভাবে পুলিশ-প্রশাসন-এলাকাবাসী আমাদের পাশে ছিল, তাদেরকে সে ভাবেই পাশে পেতে চাই। এরা সমাজের জঞ্জাল। এদের এই সাজা দেওয়াই উচিত ছিল। এখন স্বস্তি বোধ করছি। তবে, এখনও ভয়মুক্ত হতে পারিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy