প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মেয়ের বায়না মেটাতেই তাকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বার হয়েছিলেন স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু তাঁদের আর বাড়ি ফেরা হল না। ঠাকুর দেখে ফেরার পথে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিন জনেরই। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রেজিনগর এলাকার বাসিন্দা বিক্রম হালদার (৩৭)। স্ত্রী অর্চনা এবং মেয়ে অনন্যাকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল তাঁর। পুজোয় আনন্দে মেতে উঠেছিল গোটা পরিবার। কিন্তু শুক্রবার রাতে এক দুর্ঘটনায় পাল্টে গেল হালদার পরিবারের ছবি।
নবমীতে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ঠাকুর দেখে বাড়ি ফিরছিলেন হালদার পরিবারের তিন জন। ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। কলকাতা থেকে শিলিগুড়িগামী একটি বাস তাঁদের পিছন থেকে ধাক্কা মারে। তিন জনই ছিটকে পড়েন রাস্তার এক প্রান্তে। ঘটনা নজরে আসতেই ছুটে আসেন স্থানীয়েরা। রক্তাক্ত অবস্থায় তিন জনকে উদ্ধার করে বেলডাঙা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা আহতদের পরীক্ষা করে প্রথমেই অর্চনাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে তখনও বেঁচে ছিলেন বিক্রম এবং অনন্যা। রাতে তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি দু’জনকে। শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁদের। খবর পেয়ে হাসপাতালে আসে পুলিশ।
দুর্ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিল ঘাতক বাসটি। স্থানীয়েরা চেষ্টা করেও সেটিকে থামাতে পারেননি। পরে পুলিশ বহরমপুরে ঘাতক বাসটির সন্ধান পাওয়া যায়। আটক করা হয় সেটিকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাসের চালক অধরা। পুলিশ তাঁর খোঁজ শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy