কলকাতার রাস্তায় নিরাপত্তা টপকে ধাক্কা মারার চেষ্টা কলকাতারই প্রাক্তন মহানাগরিকের গাড়িকে। পুলিশের এসকার্ট কারকে ওভারটেক করে তিন বার শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গাড়িতে ধাক্কা মারার চেষ্টার অভিযোগ। শোভনের গাড়িকে বাঁচানোর চেষ্টা করায় অবশেষে ধাক্কা পুলিশের গাড়িতেই। সন্দেহজক গাড়িটিকে রাস্তাতেই আটকে আরোহীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। দুই আরোহীই নাবালক। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, তাদের বাড়ি গার্ডেনরিচে।
ইকো পার্কের একটি অভিজাত হোটেলে একটি অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফিরছিলেন শোভন। সঙ্গে ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বৈশাখী আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘ইকো পার্ক থেকে বেরনোর পর থেকেই কালো রঙের সেডান গাড়িটা পিছু নিয়েছিল। পুলিশের এসকর্ট কার আমাদের গাড়ির পিছনে ছিল। সেটাকে টপকে আমাদের গাড়িকে ধাক্কা মারার চেষ্টা করে। এক বার নয়, পুলিশের বারণ সত্ত্বেও তিন বার ধাক্কা মারার চেষ্টা করে।’’
পুলিশের তৎপরতায় প্রাক্তন মহানাগরিকের গাড়িতে ধাক্কা মারতে পারেনি গাড়িটি। কিন্তু পুলিশের এসকর্ট কারের সঙ্গে গাড়িটির সংঘর্ষ হয়। তার পর গতি বাড়িয়ে গাড়িটি পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ পিছু নিয়ে নিক্কোপার্কের কিছুটা আগে গাড়িটির পথ আটকায়। রাস্তাতেই দুই আরোহীকে নামিয়ে প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়।
আরও পড়ুন:
শোভন এবং বৈশাখীও ঘটনাস্থলে গাড়ি থেকে নেমে সন্দেহজনক গাড়ির দুই আরোহীর সঙ্গে কথা বলেন। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন নবদিগন্ত ট্র্যাফিক গার্ডে কর্মরত পুলিশ কর্মীরাও। যেখানে গাড়িটিকে আটকানো হয়েছে, সেটি বিধাননগর দক্ষিণ থানার অন্তর্গত। শোভন বলেন, ‘‘পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা মেরেছে। ফলে পুলিশ অভিযোগ দায়ের করছে। বিধাননগর দক্ষিণ থানায় আমরাও অভিযোগ দায়ের করছি। যে ভাবে বেপরোয়া গতিতে ধাক্কা মারার চেষ্টা করছিল, সেটা খুব বিস্ময়কর। এর নেপথ্যে কোনও অভিসন্ধি রয়েছে কি না, পুলিশ খতিয়ে দেখার পরেই জানতে পারব। তবে যাদের পুলিশ আটকেছে, তারা গার্ডেনরিচের কাজিপাড়া এলাকা থেকে এসেছে বলে জানতে পেরেছি।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়িটিকে আটক করে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুই আরোহীকেও আটক করা হয়েছে। পুলিশ এবং শোভন আলাদা আলাদা করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। নাবালক আরোহীদের বাড়ির লোককে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে।