Advertisement
E-Paper

শাঁখ-ফুলমালায় বরণ নিয়োগকাণ্ডে জামিন পাওয়া শান্তনুকে! নীল-সাদা বেলুনে সাজানো হল গ্রাম

কেউ নিয়ে এলেন ফুলমালা। পরিয়েও দিলেন গলায়। কেউ আবার শাঁখ বাজিয়েই বরণ করলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সদ্য জামিনে মুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ ভাবেই স্বাগত জানাল তাঁর গ্রাম।

ফুলমালা পরানো হল শান্তনুকে।

ফুলমালা পরানো হল শান্তনুকে। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫ ২০:১১
Share
Save

কেউ নিয়ে এলেন ফুলমালা। পরিয়েও দিলেন গলায়। কেউ আবার শাঁখ বাজিয়েই বরণ করলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সদ্য জামিনে মুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ ভাবেই স্বাগত জানাল তাঁর গ্রাম।

নিয়োগকাণ্ডে সিবিআইয়ের মামলায় বৃহস্পতিবার ইডির বিশেষ আদালত জামিন দেওয়ায় জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন শান্তনু। এর পর শুক্রবার দু’বছর ১১ দিন পর বলাগড়ের বারুইপাড়ার বাড়িতে ফিরলেন তিনি। গ্রামে ফেরার আগে কালীঘাট মন্দিরে পুজোও দিয়েছিলেন।

শান্তনু ফেরায় সেজে উঠেছিল বারুইপাড়াও। নীল-সাদা বেলুনে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল তাঁর বাড়ির আশপাশের এলাকা। প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছিল শান্তনুর বাড়ির বাইরেও।

বাড়ির বাইরে প্যান্ডেল করে মঞ্চ করা হয়, সাজিয়ে তোলা হয়ে নীল সাদা বেলুনে। তিনি জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পরেই কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেন। সেখানে তার সঙ্গে ছিলেন তার পরিবারের লোকজন। শান্তনুর কাকা স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভালই লাগছে। এত দিন পর শান্তনু বাড়ি ফিরেছে। ওকে ছেলের মতোই ভালবাসি। আজ বাড়িতে ছোট আয়োজন করা হয়েছে। ওর বিরুদ্ধে দুর্নীতির উঠেছিল দেখে আমার খুবই দুঃখ লাগে। বিষয়টি বিচারাধীন, তাই বেশি কিছু বলতে চাই না।’’

শান্তনুর প্রতিবেশী রুমা মালিক বলেন, ‘‘দাদাভাই এত দিন পর বাড়ি ফিরেছে দেখে আমাদের আনন্দই হচ্ছে। আমরা শাঁখ বাজিয়ে ওকে বরণ করেছি। আমরা চাই, ও যে ভাবে রাজনীতি করছিল, সে ভাবেই করুক। আমরা চাই তৃণমূলে ফিরে আসুক।’’

দুর্নীতির অভিযোগে ২০২৩ সালের ১০ মার্চ ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরেই সেই হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ্য পদে থাকা শান্তনুকে বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল। জামিনে মুক্তির পর তিনি আবার তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হবেন? প্রশ্নের জবাবে শান্তনু বলেন, ‘‘আমি দলের অনুগত সৈনিক। এখন বহিষ্কৃত। তাই দলের সমর্থক হিসাবেই থাকব। দল আমাকে সাসপেন্ড করতে পারত। আমার অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। দল আমাকে নেবে কি না, তা ঠিক করবেন দলনেত্রী ও আমার নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি দলে ফেরার জন্য আবেদন করব না। আমি দু’বছর জেলে থেকে অনেক কিছু শিখেছি। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কিছু বলব না।’’

Primary Recruitment Case West Bengal Recruitment Case

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}