চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন এক ব্যক্তি। কিন্তু ওই অবস্থা থেকে উদ্ধার করে কারা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন, সেই নিয়ে স্থানীয় এবং রেল পুলিশের কর্মীদের মধ্যে বচসা বাধে। এর জেরে চিকিৎসার অভাবে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যাত্রীর! ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় আসানসোল রেল ডিভিশনের পানাগড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ পানাগড় স্টেশন সংলগ্ন রেলগেটের কাছে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যান এক যাত্রী। ঘটনা নজরে আসতেই ছুটে আসেন স্থানীয়েরা। যাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। অভিযোগ, সেই সময় ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছোন রেলপুলিশের কর্মীরা। তাঁরা স্থানীয়দের কাজে বাধা দেন। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ ক্ষণ কথা কাটাকাটি চলে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনাস্থলেই আহত অবস্থায় পড়ে থাকেন ওই যাত্রী। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
সেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়েরা পানাগড় রেলস্টেশন সংলগ্ন রেলগেট অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সঠিক সময়ে যদি ওই যাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যেত, তবে হয়তো প্রাণে বেঁচে যেতেন তিনি। মৃতের নাম রাজেশ্বর মণ্ডল। তাঁর বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার সাতগ্রাম এলাকায়। হাওড়াগামী হুল এক্সপ্রেস পানাগড় স্টেশনে ঢোকার মুখে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যান তিনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, রেলপুলিশের অমানবিকতার কারণেই তাঁর মৃত্যু হল।
আরও পড়ুন:
যদিও রেল কর্তৃপক্ষ ওই অভিযোগ মানতে নারাজ। আসানসোল রেল ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক বিপ্লব বাউড়ি জানান, সব অভিযোগ মিথ্যা। খবর পাওয়ামাত্রই আরপিএফ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ওই যাত্রীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।