এখনও সিপিএমকে অনেকেই ‘লাল পার্টি’ বলে অভিহিত করেন। কিন্তু রাজ্য সিপিএমের ফেসবুক পেজের ‘ডিপি’ থেকে সেই লাল রংটাই উবে গেল! যার বদলে জায়গা করে নিল নীল-সাদা শরতের আকাশের প্রেক্ষাপটে হলুদ রঙের কাস্তে-হাতুড়ি। যে রং তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের। রংবদলের প্রেক্ষিতে ধেয়ে আসা তৃণমূলের কটাক্ষের পাল্টা হিসাবে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের প্রশ্ন, নীল-সাদা কি ওদের পৈতৃক সম্পত্তি?
ফেসবুকের ডিপির প্রায় একই সঙ্গে ফেসবুক পেজের কভার ছবিও বদল করা হয়েছে। তাতে অবশ্য লালের ছোঁয়া আছে। তবে খুবই সামান্য। ‘ডিপি’ এবং কভার ছবি দু’টি ক্ষেত্রেই মুখ্য হয়ে উঠেছে নীল-সাদা। তবে কভার ফোটোতে ২০ এপ্রিলের ব্রিগেড কর্মসূচির উল্লেখ রয়েছে।
এখন রাজ্য সরকারের যে কোনও কর্মসূচিতেই নীল-সাদার আধিক্য দেখা যায়। শুধু সরকার নয়। তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচিতেও হোর্ডিং, কাপড়, শামিয়ানাতেও রং থাকে নীল-সাদাই। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গত ৭৫ দিন ধরে তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে যে সেবাশ্রয় কর্মসূচি করেছেন, তারও থিম রং ছিল নীল-সাদাই।
সিপিএমের ফেসবুক পেজের ডিপি এর আগে লালহীন ছিল প্রায় সাত বছর আগে। সে বার একটি কাঠের আসবাবের উপর রেখে সত্যি কাস্তে এবং হাতুড়ির ত্যারছা ছবি ডিপি করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে অন্য কোনও রং ছিল না। পরিবর্তিত ছবির মন্তব্যের জায়গাতেও অনেক সিপিএম সমর্থক প্রশ্ন তুলেছেন, লাল কোথায় গেল? কেউ কেউ আবার কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘মহাশূন্যে কাস্তে-হাতুড়ি’।
এই রংবদল নিয়ে তৃণমূলের অন্যতম নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এত দিন ওরা নীল-সাদা নিয়ে কটাক্ষ করত। আজকে নিজেরাই ওই রং করেছে, আমার মনে হয় ওরা নিজেদের বাংলাকে রক্তাক্ত করার ইতিহাস ভুলতে চেয়ে এই রং বদল করেছে। লাল হটিয়ে দিয়েছে।’’ পাল্টা রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘তৃণমূল যা বলছে তাতে তো মনে হচ্ছে ওরা নীলের উপর যে মৌরসিপাট্টা কায়েম করেছে তাতে আবার নীলকর, নীলকুঠি চালু করবে।’’