টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে সরব হওয়ায় ঠিকাদারের বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ! যদিও যে মহিলাকে শ্লীলতাহানি করেছেন বলে অভিযোগ ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে, তিনিই থানায় গিয়ে জানান, সব অভিযোগ মিথ্যা! ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল শান্তিনিকেতনের রূপপুর পঞ্চায়েতে।
জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের একটি প্রকল্পের টেন্ডার নিয়ে গরমিলের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন জয়নাল মণ্ডল। এমনকি বিষয়টি আদালত পর্যন্তও গড়ায়। অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যেরা। জয়নালের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের একটি প্রকল্পের টেন্ডারে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পঞ্চায়েত তাঁর কোনও নথি জমা নেয়নি। যা নিয়ে বোলপুর আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা করেন। আদালত সেই মামলায় পঞ্চায়েতের ওই প্রকল্পের কাজের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। যদিও পঞ্চায়েত সেই নির্দেশ না মেনেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানালে, জয়নালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলা হয়।
যদিও, যে মহিলাকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তিনি জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত অফিসে ডেকে তাঁকে একটি কাগজে সই করানো হয়েছিল। অফিসের নথি ভেবে না পড়ে তাতে সই করেন তিনি। পরে জানতে পারেন, আসলে শ্লীলতাহানির অভিযোগপত্রে তাঁকে দিয়ে সই করা হয়। ওই মহিলার কথায়, “শ্লীলতাহানির কোনও ঘটনাই ঘটেনি। জয়নাল নির্দোষ, ওকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি থানায় বিষয়টি জানিয়েছি।” অভিযোগের তির পঞ্চায়েত প্রধান এরিনা খাতুন এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাবু দাসের দিকে।
আরও পড়ুন:
এই ঘটনা প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য, “ওই মহিলা কেন বার বার মত বদলাচ্ছেন বুঝতে পারছি না। ওর সঙ্গে কথা বলব।” যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা বাবুর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। তদন্ত চলছে। এই বিষয়ে আদালতে রিপোর্ট দেওয়া হবে।