বাংলা অনার্স (পার্ট টু) চতুর্থ পত্রের প্রশ্ন-বিভ্রাটে দোষারোপ করা হচ্ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপাখানার কর্মী-তত্ত্বাবধায়কদের। সেটা ছিল সোমবারের ঘটনা। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রবিজ্ঞান (পাশ)-এর প্রশ্নপত্র-বিভ্রাটের জন্য কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কলেজের সে-দিনের পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক-কর্মীদের।
প্রশ্ন-বিভ্রাটে চক্রান্ত থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা দোষ করে। তাদের বয়স কম। যাঁরা ছাত্র তৈরির দায়িত্বে আছি, তাঁরা ছাত্রদের বিপদে ফেলছি! এ-সব কী হচ্ছে! পরীক্ষা প্রথমার্ধের। অথচ দ্বিতীয়ার্ধের প্রশ্নপত্র দিয়ে দিচ্ছেন! বাংলা পড়তে পারছেন না? এটা ইচ্ছাকৃত? নাকি ষড়যন্ত্র? দেখতে হবে।’’ তিনি জানান, এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট কলেজ (বাঘা যতীনের সম্মিলনী মহাবিদ্যালয়)-এর পরিচালন সমিতির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। এটা মানা হবে না বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার সম্মিলনী কলেজে প্রশ্ন-বিভ্রাটের সূচনা। প্রথমার্ধের পরীক্ষার সময় দ্বিতীয়ার্ধের প্রশ্নপত্রের সিল খুলে ফেলা হয়। সেই বিভ্রাটের দায় কার বা কাদের, তার তদন্তে নেমে কমিটির সদস্যেরা এ দিন ওই কলেজে যান। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, তদন্ত কমিটি দেখছে, কলেজের ঘরে ঘরে যাঁরা প্রশ্নপত্র নিয়ে গিয়েছিলেন এবং প্রতিটি ঘরে যাঁরা প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলেছিলেন, তাঁদেরই গাফিলতি ছিল। কেউই প্যাকেটগুলির উপরে কী লেখা রয়েছে, তা ঠিক খেয়াল করেননি।
বৃহস্পতিবার ওই কলেজে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা হয় এবং তা বাতিল হবে না বলেও জানানো হয়েছে। কিন্তু সব কলেজেই দ্বিতীয়ার্ধের পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায়। এক সপ্তাহে দু’দিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি পরীক্ষা বাতিলের ঘটনায় এ দিন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রাজাগোপাল ধর চক্রবর্তীর নেতৃত্বে তদন্তকারীরা কথা বলেন সম্মিলনী কলেজের অধ্যক্ষ শান্তিরঞ্জন পালচৌধুরী, পরিচালন সমিতির সভাপতি বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের সঙ্গে। বাপ্পাদিত্যবাবু বলেন, ‘‘ঘটনার পিছনে কারা আছে, তাদের খুঁজে বার করতে রেজিস্ট্রারকে অনুরোধ জানিয়েছি।’’ রেজিস্ট্রারের আশ্বাস, দ্রুত তদন্ত চলছে। দোষীদের শাস্তি হবেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy