মন্দিরে তালা।
সরস্বতী পুজার আগের দিন মন্দিরে তালা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়ায় ইলামবাজার থানার রামনগর এলাকায়। অবিলম্বে ওই মন্দিরের তালা খোলার দাবিতে দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ইলামবাজার-বোলপুর রাস্তা অবরোধ করেন আশপাশের ৫-৬টি গ্রামের বাসিন্দারা। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পুলিশের উপস্থিতিতে মন্দিরের তালা খোলার পরে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা। তার পরেই যান চলাচল স্বাভাবিক হয় ইলামবাজার-বোলপুর রাস্তায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জমিদার কৃষ্ণমতি পালের রামনগর এলাকার ওই জায়গায় একটি সরস্বতী মন্দির ছিল। রীতি মেনে ওই এলাকায় পুজার সময় নানা অনুষ্ঠান হত। তিন দশক আগে কৃষ্ণমতি পাল মারা যান। তার পর থেকে ওই মন্দিরের পুজোর দায়িত্ব স্থানীয় গ্রামবাসীদের ওপর বর্তায়। ওই মন্দিরের সেবাইত পরিতোষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বংশানুক্রমিক এই পুজো আমরা করে আসছি। কৃষ্ণমতিবাবুর মৃত্যুর পর স্থানীয় বাসিন্দারাই এই পুজোর দায়িত্ব নেন।”
অবরোধে আটকে যানবাহন।—নিজস্ব চিত্র।
রামনগর সরস্বতী মন্দির কমিটির সম্পাদক আশিস মণ্ডল, গ্রামবাসী শ্যামাপ্রসাদ মণ্ডলরা বলেন, “তিন দশেক ধরে এলাকার বাসিন্দারা এই পুজো করে আসছেন।” তাঁদের অভিযোগ, শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় ইলামবাজার থানার পুলিশ ওই মন্দিরে তালা দিয়ে দেয়। পুজার আগে এহেন কাজের প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা অবিলম্বে মন্দিরের তালা খোলার দাবি জানায়। প্রতিবাদে পথ অবরোধেও নামেন। অবরোধের জেরে আটকে পড়েন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। পরে অবশ্য ঘুর পথে তিনি বেরিয়ে যান। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে এক আইনজীবী ওই তালা খোলায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ইলামবাজারের বিডিও প্রলয় সরকার বলেন, “সরস্বতী মন্দিরকে ঘিরে ঝামেলার জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা পথ অবরোধ করেছিলেন। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলেছে। যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy