আর জি কর মামলার বিচার প্রক্রিয়া রাজ্যের বাইরে সরানোর দাবি সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিল। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণের মামলার বিচার প্রক্রিয়া রাজ্যের বাইরে সরানোর দাবি সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিল। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে আজ আর জি কর মামলার শেষ শুনানি হল। কিন্তু সেখানে রাজ্যের সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন, আর জি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনার তদন্ত, রাত্তিরের সাথী প্রকল্পে ফের হাসপাতালে নিরাপত্তায় ঠিকা কর্মী নিয়োগ ও রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে সিসিটিভি, শৌচাগার, ডিউটি রুম, রেস্ট রুম তৈরির কাজ শেষ হয়েছে কি না— এ সব কোনও প্রসঙ্গই উঠল না। রবিবার প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। আজ তিনি জানিয়েছেন, আর জি কর মামলা সুপ্রিম কোর্টে চলবে। তাঁর সঙ্গে বেঞ্চে অন্য যে দু’জন বিচারপতি এই মামলা শুনছিলেন, সেই বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র এই মামলার শুনানিতে থাকবেন। চার সপ্তাহ পরে ফের শুনানি হবে।
আজ আর জি কর কাণ্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় আচমকাই একজন আইনজীবী দাবি তোলেন, ১১ নভেম্বর থেকে কলকাতায় বিচার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। এই মামলা রাজ্যের বাইরে সরানো হোক। অতীতে এমন মামলার বিচার প্রক্রিয়া রাজ্যের বাইরে সরানো হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘হ্যাঁ ঠিকই, অতীতে আমরা মণিপুরে হিংসার মামলা রাজ্যের বাইরে সরিয়েছি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমরা তেমন কিছু করছি না। এখানে তার কোনও প্রয়োজন নেই।” আর জি করের নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার বলেন, ‘‘একটি অংশ বিচার প্রক্রিয়া আটকাতে চাইছে। আর একটি অংশ বিচার প্রক্রিয়া অন্য জায়গায় সরাতে চাইছে।’’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘বিচার শুরু হতে দিন। আমরা বিচারে বাধা দিতে চাই না। আমরা জানি, কিছু কিছু অংশ বিচার বন্ধ করতে চাইছে।’’
আর এক আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পুলিশ ও বিচারব্যবস্থার উপরে আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। প্রধান বিচারপতি তাঁকে ধমক দিয়ে বলেন, “মানুষের কথা আপনি বলবেন না। আপনি কার হয়ে মামলা লড়ছেন? আপনার মক্কেল কে?” ওই আইনজীবী এর কোনও উত্তর দিতে না পেরে মুখে কুলুপ এঁটে ফেলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, “এই সব ভাসা ভাসা কথা বলবেন না। এমন কিছু নেই”। এ সব ‘ক্যান্টিনের গসিপ’ বলে উড়িয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। রাজ্য সরকারের তরফে কপিল সিব্বল বলেন, ‘‘আমরা চাই, বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হোক। দোষীর শাস্তি হোক।’’
আর জি কর কাণ্ডের তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সিবিআই ফের ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দিয়েছে। এই নিয়ে ছ’টি রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে প্রধান বিচারপতি বলেন, সিবিআই মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের করার পরে শিয়ালদহের অতিরিক্ত দায়রা আদালতে চার্জ গঠন হয়েছে। ১১ নভেম্বর থেকে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে। সিবিআইয়ের তদন্ত চলবে। চার সপ্তাহ পরে সিবিআই ফের তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দেবে।
কলকাতা হাই কোর্টে আর জি কর নিয়ে জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি অভিযোগ তোলেন, ‘‘সিবিআই ৯০ দিন ধরে তদন্ত করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তারা কলকাতা পুলিশের তদন্তেই সিলমোহর দিয়েছে। এখন তদন্ত চলছেও বলা হচ্ছে। মাননীয় বিচারপতিরা, এটা স্ববিরোধিতা।’’ তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, এটাকে কী ভাবে বিচারপতিদের স্ববিরোধিতা বলা যায়? সিবিআই প্রধান অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়ের করেছে। এর পরেও তদন্ত চলছে। অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারকের হাতে যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে। তিনি চাইলে আরও একটি তদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন। তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে প্রয়োজন মতো নির্দেশ দেওয়ার যথেষ্ট ক্ষমতা তাঁর কাছে রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট এর মধ্যে হস্তক্ষেপ করবে না। এতে বিচারব্যবস্থার উপরে সংশয় তৈরি হবে। তখন এডুলজি বলেন, তিনি সিবিআইয়ের স্ববিরোধিতার কথা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy