প্রতীকী ছবি
মার্চের মাঝামাঝি খুন হয়েছিলেন গ্রামের এক তৃণমূলকর্মী। সেই ঘটনা নিয়ে এখনও উত্তেজনা বহাল রামপুরহাট থানার রদিপুর গ্রামে। নিহত ব্যক্তি ছিলেন গ্রামের ঘোষপাড়ার বাসিন্দা। অভিযুক্তেরা লেটপাড়ার। লকডাউনের মধ্যেও পূর্ব আক্রোশের জেরে বাড়ি বাড়ি ঢুকে মেরে ফেলার হুমকি ও মারধর করছে ঘোষপাড়ার বাসিন্দাদের একাংশ—এমনই অভিযোগ লেটপাড়ার বাসিন্দাদের।
অভিযোগ জানাতে লেটপাড়ার প্রায় ৫০ জন মহিলা ১২ কিলোমিটার হেঁটে শনিবার দুপুরে রামপুরহাট থানায় আসেন। ঘোষপাড়ার ১০ জনের নামে লিখিত অভিযোগও করেন। বিকেলে ফের ১২ কিমি হেঁটে মহিলারা গ্রামে ফেরেন।
লেটপাড়ার মহিলাদের অভিযোগ, পুরনো বিবাদের জেরে ঘোষপাড়ার কয়েক জন যুবক পাড়ায় ঢুকে প্রায় দিনই ঝামেলা করছে। রাতে বাড়িতে বেঁধে রাখা ছাগল খুলে নিয়ে পালাচ্ছে। এ দিন সকালে ধারাল অস্ত্র ও লাঠি হাতে লেটপাড়ায় ঢুকে বাসিন্দাদের মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ফলে, লকডাউনের মধ্যে রামপুরহাট যাওয়ার জন্য কিছু পাবেন না জেনেও অভিযোগ জানাতে হেঁটে থানায় আসেন লেটপাড়ার মহিলারা। তাঁরা বলেন, ‘‘ঘোষপাড়ার লোকেদের গ্রামের ভিতর দিয়ে না এসে মাঠের আলপথ ধরে থানায় এসেছি।’’ বেশ কিছু দিন আগে ঘোষপাড়ায় গ্রামের একমাত্র রেশন ডিলারের কাছ থেকে লেটপাড়ার মহিলারা বিনামূল্যে রেশন নিতে গেলে ঘোষপাড়ার মহিলাদের একাংশ তাঁদের মারধর করেন বলেও অভিযোগ উঠেছিল।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ১৫ মার্চ লেটপাড়ায় একটি ক্লাবের বারান্দায় মধুসূধন ঘোষ নামে ওই তৃণমূলকর্মী তথা দুধ ব্যবসায়ীর দেহ মেলে। তাঁকে লেটপাড়ার কয়েক জন পিটিয়ে মেরেছেন বলে পরিবার অভিযোগ দায়ের করে। লেটপাড়ায় সিপিএমের প্রভাব থাকায় ঘটনায় রাজনীতির রং লাগে। সেই থেকে দুই পাড়ার বিবাদ চলছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, অধিকাংশ অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, এই মুহূর্তে করোনা মোকাবিলা নিয়ে পুলিশকর্মীরা ব্যস্ত। তা-ও অভিযোগ পেয়ে পুলিশ লেটপাড়ায় গিয়েছিল। তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy