লার্সেন অ্যান্ড টুব্রোর চেয়ারম্যান এসএন সুব্রহ্মণ্যন। ছবি: সংগৃহীত।
কর্মীদের ৯০ ঘণ্টা কাজ করার বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দেশ জুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন লার্সেন অ্যান্ড টুব্রোর প্রধান এসএন সুব্রহ্মণ্যন। সুব্রহ্মণ্যনের ৯০ ঘণ্টা কাজের নিদান দেওয়ার মন্তব্যকে ঘিরে হওয়া সমালোচনার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সংস্থাটি। সংস্থার ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে বুঝে চেয়ারম্যানের বক্তব্য নিয়ে চটজলদি এলঅ্যান্ডটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি তার অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জানিয়েছে দেশের বিকাশের জন্য অসাধারণ প্রচেষ্টার প্রয়োজন এবং বিশেষ করে একটি জাতির উন্নয়নের জন্য বর্তমান সময়ে কর্মীদের আরও বেশি শ্রম দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এলঅ্যান্ডটি মুখপাত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, “ভারতের সামগ্রিক উন্নতির জন্য আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে সমষ্টিগত প্রচেষ্টার প্রয়োজন। চেয়ারম্যানের মন্তব্য সেই বৃহত্তর লক্ষ্যে পৌঁছনোর উচ্চাকাঙ্ক্ষাকেই প্রতিফলিত করেছে।’’
ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তির থেকে আরও এক ধাপ এগিয়ে সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজের সওয়াল করেছেন সুব্রহ্মণ্যন। এমনকি রবিবারেও ছুটি না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। দ্রুত ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োয় ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়। প্রশ্ন উঠেছে, কর্মীদের কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য রক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে অগ্রাহ্য করা নিয়ে।
বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘আমার আফসোস হয়, আপনাদের রবিবার কাজ করাতে পারছি না। যদি তা পারি, আরও খুশি হব। কারণ, আমি নিজে রবিবার কাজ করি।’’ তার পরেই তিনি বলেন, ‘‘কী করবেন বাড়িতে বসে? কতক্ষণ স্ত্রীর মুখ দেখবেন? কত ক্ষণ স্ত্রীরাই বা স্বামীর দিকে তাকিয়ে থাকতে পারেন? তার চেয়ে অফিসে আসুন এবং কাজ আরম্ভ করুন।’’
তাঁর এই মন্তব্য অনেকের কাছে কর্মীদের প্রতি অমানবিক চাপ সৃষ্টি করার শামিল বলে মনে করা হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজের প্রস্তাব শ্রমিকদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং এটি আধুনিক কাজের পরিবেশের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে করছেন নেটাগরিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy