কলকাতা বইমেলায় এ বছর স্টল পাচ্ছে না গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি (এপিডিআর)। বইমেলার আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের বিরুদ্ধে তাদের করা আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ওই মামলা গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ। ফলে এ বছর বইমেলায় এপিডিআরের স্টল থাকছে না।
বইমেলায় স্টল দিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে গিল্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এপিডিআর। প্রতি বছর কলকাতা বইমেলায় তাদের স্টল থাকে। কেন এ বার সেই অনুমতি দেওয়া হল না, প্রশ্ন তুলেছিল মানবাধিকার সংগঠনটি। তাদের অভিযোগ ছিল, বইমেলায় স্টল বণ্টনে স্বচ্ছতা দেখাচ্ছে না গিল্ড। শুক্রবার হাই কোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল।
আরও পড়ুন:
গিল্ড আদালতে জানিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এপিডিআর লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট এবং ক্যাটালগ জমা দিতে পারেনি। এই নথিগুলি থাকলেই সাধারণত বইমেলায় স্টল বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়। এপিডিআর এই ধরনের কোনও নথি দেখাতে পারেনি।
গিল্ডের দাবি উড়িয়ে দেয়নি এপিডিআর। আদালতে তারা জানায়, তাদের কোনও লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নেই। এর পরেই তাদের আবেদন খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট।
উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, গিল্ড কোনও সরকারি কাজ করছে না। এটি একটি বেসরকারি সংস্থা। ফলে গিল্ডের বিরুদ্ধে এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নেই। এপিডিআরকে আদালত কোনও স্বস্তি দিতে পারছে না বলে জানান বিচারপতি সিংহ। তবে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে এই সংগঠন বইমেলায় স্টলের জন্য আবেদন করতে পারে। এ বছর কলকাতা বইমেলা শুরু হচ্ছে ২৮ জানুয়ারি থেকে। চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
প্রতি বছর কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশের আলাদা স্টল থাকে। এ বার পড়শি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তা অনিশ্চিত। মেলায় অংশগ্রহণকারী দেশের তালিকায় নেই বাংলাদেশের নাম। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় জানান, বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে তাদের পক্ষে বইমেলায় আসা অসম্ভব। যদি কেন্দ্রীয় সরকার কোনও নির্দেশ না-দেয়, তা হলে বাংলাদেশকে অংশগ্রহণ করতে বলার প্রশ্নই ওঠে না। অংশগ্রহণকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম না-থাকা নিয়ে সমালোচনা করেছিল এপিডিআর। তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ নিয়ে সেই সমালোচনার কারণেই গিল্ড তাদের বঞ্চিত করেছে। শুক্রবার হাই কোর্টেও তাদের আবেদন খারিজ হয়ে গেল।