অস্থায়ী সেতু ভেঙে বিচ্ছিন্ন বাঁকুড়ার মানকানালি, উখড়াডিহি-সহ প্রায় ৩০টি গ্রাম। —নিজস্ব চিত্র।
নিম্নচাপের জেরে দু’দিন ধরে লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে ফের বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কায় বীরভূমের একাধিক গ্রাম। জল বাড়ছে বীরভূমের অজয়, ময়ূরাক্ষী-সহ সমস্ত নদ-নদীতে। জলস্তর বাড়ায় মশানজোড়-সহ একাধিক বাঁধের জল ছাড়া হয়েছে। কুঁয়ে নদীতে জল বাড়ায় ফের প্লাবিত হওয়ার আতঙ্কে কাঁদরকুলো গ্রাম-সহ প্রায় ৪০টি গ্রামের বাসিন্দারা। অন্য দিকে, বুধবার বাঁকুড়া জেলায় বৃষ্টি না হওয়ায় সেখানকার নদীগুলির জলস্তর নামছে। তবে সোমবার রাতে একটি অস্থায়ী সেতু ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে অন্তত ৩০টি গ্রাম।
জলস্তর বাড়ায় বুধবার একাধিক বাঁধের জল ছাড়া হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের মশানজোড় বাঁধ থেকে ৫,৪০০ কিউসেক এবং সিউড়ির ময়ূরাক্ষী নদীর তিলপাড়া বাঁধ থেকে ছাড়া হয়েছে ৫,৪০০ কিউসেক জল। এ ছাড়া, বীরভূমের দেউচা বাঁধ থেকে ১,১৩৬ কিউসেক এবং বক্রেশ্বর থেকে ৯৩৯ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর।
বাঁধের জল ছাড়ায় লাভপুরের কুঁয়ে নদীর জল বেড়েছে। যার জেরে জলের তলায় সিউড়ি-কাটোয়া রাজ্য সড়কের উপর লাভপুরের লাঘাটা সেতু। তবে জল বাড়ার পরও ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতু পারাপার করছেন অনেকে। সর্তকতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করতে সচেষ্ট হয়েছে প্রশাসন।
আবহাওয়ার উন্নতি না হলে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন বীরভূমের একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা। মাস তিনেক আগে তিলপাড়া ব্যারেজের জল ছাড়ায় কুঁয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল লাভপুরের কাঁদরকুলো গ্রাম-সহ প্রায় ৪০টি গ্রাম। তবে আতঙ্ক কাটেনি গ্রামবাসীদের। বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হলেও তা শেষ হয়নি। গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে কুঁয়ে নদীতে ফের জল বাড়ছে। লাভপুরের বাসিন্দা সত্যনারায়ণ মণ্ডল বলেন, ‘‘তিন মাস আগে কুঁয়ে নদীর বাঁধ ভাঙায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল গোটা গ্রাম। ফের নদীবাঁধ ভেঙে গেলে গ্রামছাড়া হতে হবে।’’
বীরভূমের তুলনায় বাঁকুড়ায় সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বুধবার বৃষ্টি না হওয়ায় গন্ধেশ্বরী নদী এবং দ্বারকেশ্বর নদের জলস্তর নামতে শুরু করেছে। তবে বাঁকুড়া শহর লাগোয়া দ্বারকেশ্বর নদের উপর ভাদুল এবং মিনাপুর সেতুর উপর দিয়ে জল বইছে। ওই দুই সেতু দিয়ে যাতায়াত বন্ধ। তবে গন্ধেশ্বরী নদীর জলস্তর নামতেই মানকানালি সেতুর কঙ্কালসার চেহারা বেরিয়ে পড়েছে। দুর্গাপুজোর আগে গন্ধেশ্বরী নদীর বন্যায় ভেঙে পড়ে মানকানালি সেতু। পুজোর মুখে একটি অস্থায়ী সেতু তৈরি করেছিল প্রশাসন। কিন্তু সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সোমবার রাতের বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে সেতু। ফলে পুজোর পরই ফের বিচ্ছিন্ন মানকানালি, উখড়াডিহি-সহ প্রায় ৩০টি গ্রাম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy