বিশ্বভারতীতে বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠান বাংলাদেশ ভবনের পরিবর্তে জগদীশ কাননে(পুরনো মেলার মাঠ)জায়গা দেখছেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অরবিন্দ মণ্ডল সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা।মঙ্গলবার। ছবিঃ বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
বাংলাদেশের টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ ভবনে বাইশে শ্রাবণ উপলক্ষে নির্ধারিত বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠান বাতিল করল বিশ্বভারতী। তার পরিবর্তে বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠান হবে পুরনো মেলার মাঠে। বাংলাদেশ ভবনের নিরাপত্তাও বাড়ানো হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ভবনে চলচ্চিত্র উৎসব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপরে নির্মিত বায়োপিক দেখানো থেকে শুরু করে একাধিক কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, এই বিশ্বভারতীতেই বাংলাদেশ সরকারের ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশ ভবন। ২০১৮ সালে বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে এসে এই ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন বাংলাদেশের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ ভবনে গ্রন্থাগার, সংগ্রহশালা ছাড়াও ৪৫৩ আসনের একটি প্রেক্ষাগৃহ, ৩৫০ আসনের সভাঘর এবং ১০৮ আসনের ক্যাফেটেরিয়া আছে। আছে আন্তর্জাতিক স্তরের একটি জাদুঘর। এই ভবনে বঙ্গবন্ধু-সহ মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ছবি ভাস্কর্য ও তথ্য রয়েছে। নতুন করে বাংলাদেশ ভবনের সংস্কারের কাজও শুরু করেছে বিশ্বভারতী। একই সঙ্গে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নিয়ে চলচ্চিত্র উৎসব, বঙ্গবন্ধুর উপরে নির্মিত বায়োপিক প্রদর্শনের মতো একাধিক অনুষ্ঠান চলতি বছরেই বাংলাদেশ ভবনে হওয়ার কথা ছিল।
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারত সরকার কী অবস্থান নেয় নেয়, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্বভারতীর কর্মিমণ্ডলী, বাংলাদেশ ভবনের আধিকারিক, অন্যান্য ভবনের অধ্যক্ষ এবং অধ্যাপক ও অধ্যাপিকাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন কর্তৃপক্ষ। উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অরবিন্দ মণ্ডল, কর্মসচিব অশোক কুমার মাহাতো। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ভবনে বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠান করা হবে না।
বিশ্বভারতীর কর্মিমণ্ডলী বিবৃতি দিয়ে জানায়, বাইশে শ্রাবণের বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ভবন থেকে অনিবার্য কারণে জগদীশ কাননে (পুরনো মেলার মাঠে) স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ভবন থেকে প্যান্ডেল সরিয়ে নতুন করে পুরনো মেলার মাঠে প্যান্ডেল তৈরির কাজও শুরু হয়েছে।এ দিন দুপুরে উপাচার্য পুরনো মেলার মাঠ পরিদর্শনও করেন। তিনি বলেন, “প্রথমে বাংলাদেশ ভবনে বৃক্ষরোপণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন তা পুরনো মেলার মাঠে হবে।” বাংলাদেশ ভবনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে কি না, জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, “বাংলাদেশ ভবন আমাদের একটি সম্পত্তি। কী ভাবে সেই সম্পত্তি রক্ষা করা যায়, তার চিন্তা ভাবনা আমরা করছি। নিরাপত্তার নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy