Advertisement
E-Paper

মজুরির টাকায় দোতলা, দাবি

পুরুলিয়া স্টেশনে মালগাড়ি থেকে জিনিসপত্র নামিয়ে ট্রাক বা গাড়িতে তোলেন মুটিয়া-মজদুরেরা।

তেলকলপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র

তেলকলপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:০০
Share
Save

সম্প্রতি পুরুলিয়া শহরের তেলকলপাড়ায় সিটুর মুটিয়া-মজদুর ইউনিয়ন ভবনের দোতলার দ্বারোদ্ঘাটন হয়েছে। ইউনিয়নের তরফে দাবি করা হয়েছে, অনেক আগে পরিকল্পনা হলেও টাকার অভাবে থমকে ছিল কাজ। পাঁচ বছর ধরে সদস্যেরা মজুরির টাকা থেকে সাধ্যমতো জমা করেছেন। কাজ হয়েছে মূলত তা দিয়েই। ভবনটির উদ্বোধন করে সিটুর সর্বভারতীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা প্রাক্তন সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া বলেন, ‘‘শ্রমিকদের তিল তিল করে সঞ্চিত অর্থে ভবন নির্মাণ শ্রমজীবী মানুষের অন্দোলনকে সংগঠিত করবে।’’

পুরুলিয়া স্টেশনে মালগাড়ি থেকে জিনিসপত্র নামিয়ে ট্রাক বা গাড়িতে তোলেন মুটিয়া-মজদুরেরা। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে স্টেশনের অদূরে, তেলকলপাড়ায় সংগঠনের একতলা ভবনটি গড়ে উঠেছিল প্রয়াত বিড়ি শ্রমিক অমূল্য মাহাতোর নামে। সংগঠনের নেতা অনিল কোনার জানান, ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছিল। দরকার ছিল বৈঠক করার বা গ্রাম থেকে এসে আটকে পড়া শ্রমিকদের থাকার জায়গা।

পুরুলিয়া জেলা মুটিয়া-মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি বিনায়ক ভট্টাচার্য জানান, বছর পাঁচেক আগে দোতলায় নির্মাণের সিদ্ধান্ত হলেও টাকার অভাবে কাজ হচ্ছিল না। সংগঠনের সাড়ে তিনশোর বেশি সদস্য রয়েছেন। তাঁদের প্রতিদিনের মজুরি থেকে জমানো টাকাতেই অনেকটা সংস্থান হয়। কিছু শুভানুধ্যায়ী সাহায্য করেন। তিনি বলেন, ‘‘সব মিলিয়ে প্রায় সাত লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এখনও কিছু ধার শোধ করা বাকি।’’

ষাটোর্ধ্ব শ্রমিক সাত্তার আনসারির কথায়, ‘‘দিনমজুরিই পেশা। এখন শরীর দেয় না বলে আর ভারী কাজ করতে পারি না। অন্য কাজ করি। নিজেদের পারিশ্রমিক থেকে সবাই কিছু কিছু করে টাকা রোজ জমাতাম। ভাল লাগছে, আমাদের নিজেদের ভবনটি দোতলা হল।’’

Wage Money Two Storeys CITU

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}