ফাইল চিত্র
বিশ্বভারতীর পাঁচিল-কাণ্ড নিয়ে তৈরি হওয়া জট কাটাতে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করুক হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটি—এই দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়াদের একাংশ। বিভিন্ন দাবি লেখা পোস্টার হাতে প্রায় ৪৫ মিনিট বৃহস্পতিবার মেলার মাঠের নির্মীয়মাণ প্রবেশদ্বারের সামনে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান।
বিক্ষোভে উপস্থিত পড়ুয়াদের ক্ষোভ, শুধু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই নবনিযুক্ত কমিটি ১৭ অগস্ট ভেঙে ফেলা পৌষমেলার মাঠের প্রবেশদ্বার পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু, অন্য পক্ষ যেমন পড়ুয়া, আশ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী-সহ সকলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পরেই কোনও সিদ্ধান্তে আসা উচিত ছিল মনে করেন ওই ছাত্রছাত্রীরা। যদিও তাঁরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তাঁরা দরজা তৈরির বিপক্ষে নন, বরং শুধ বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য শুনেই সিদ্ধান্ত নেওয়াকে ঘিরে তাঁদের সংশয়।
বিশ্বভারতীর পাঁচিল কাণ্ডে যে ভাবে ক্রমাগত বিবাদের আবহ তৈরি হচ্ছিল, তার স্থায়ী সমাধান সূত্র খোঁজার জন্য কলকাতা হাইকোর্ট চার সদস্যের কমিটি তৈরি করে। ২০ সেপ্টেম্বর কমিটির সদস্যরা বিশ্বভারতীতে আসেন এবং জেলা প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষ হওয়ার অব্যবহিত পরেই বিশ্বভারতীর পে-লোডার ও শ্রমিকদের এনে ভেঙে ফেলা প্রবেশদ্বার পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করে দেয়। উপস্থিত পড়ুয়াদের প্রশ্ন, বাকি পক্ষের সঙ্গে কথা না বলেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কেন? কোনও টেন্ডার ছাড়াই এত কম সময়ে বিশ্বভারতী কাজ শুরু করল কী ভাবে? বিশ্বভারতীর বক্তব্য, “সব কাজ নিয়ম মেনেই হচ্ছে।”
সঙ্গীতভবনের ছাত্র প্রীতম দাস বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে যে কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে। হাইকোর্ট নির্বাচিত কমিটির সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু, আমরা চাই, কমিটি সব পক্ষের বক্তব্য শুনে তার পরেই নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাক।” আশ্রমিক ও স্থানীয় অধিবাসীদের একটা বড় অংশও এই দাবি তুলেছেন। আশ্রমিকদের আরও অভিযোগ, ২০ সেপ্টেম্বর কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরেও তাঁদের অধিকাংশের সঙ্গেই কথা বলা হয়নি। শুধুমাত্র বিশ্বভারতী মনোনীত চার আশ্রমিক ছিলেন কমিটির বৈঠকে। কয়েক জন আশ্রমিকের বক্তব্য, ‘‘আশ্রমিকেরা কোনও নির্দিষ্ট সংগঠনের অংশ নন যে, সেখান থেকে প্রতিনিধি বেছে নেওয়া যাবে। প্রত্যেক আশ্রমিকের নিজস্ব বক্তব্য থাকতে পারে। কেউ কারও প্রতিনিধি হতে পারে না।” এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে স্বনামে চিঠিও পাঠিয়েছেন তাঁরা। যার কপি পাঠানো হয়েছে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চার দিনেই এমন আবেদনের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে এক হাজারের গণ্ডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy