মহামিছিল: সিউড়িতে মহামিছিল। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
রাস্তায় নেমে আন্দোলনে দেখা না গেলে দলে কারও জায়গাই নিশ্চিত নয়। বুধবার কলকাতায় জেলা সমাবেশ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে সিপিএমের মহামিছিলের বহর দেখে নেতা-কর্মীদের একাংশের মনে হয়েছে, রাজ্য সম্পাদকের বার্তায় কাজ হয়েছে। কেননা, এই দলের দুর্দিনেও প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা মিছিল হয়েছে।
২২ মে নানা দাবিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে বামপন্থী কৃষক ও খেত মজুর সংগঠন। সংগঠনকে ঝাঁকুনি দিতে নবান্ন অভিযানকেই হাতিয়ার করতে চায় সিপিএম। সূর্যবাবুর বার্তা থেকে সেটাই স্পষ্ট ছিল। নবান্ন অভিযানের আগে দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে এবং তার প্রস্তুতি হিসেবে জেলায় জেলায় সমাবেশ করা হচ্ছে। তার প্রেক্ষিতেই এ দিনের মিছিল ও সমাবেশ।
সিউড়ি চাঁদামারি মাঠ থেকে এ দিন বেলা ১১টায় শুরু হয় মিছিল। বাসস্ট্যান্ড, প্রশাসনিক ভবন, সিউড়ি পুরসভা পেরিয়ে ডান দিকে ঘুরে বড় পোস্ট অফিস ও মসজিদ মোড় হয়ে মিছিল শেষ হয়ে জেলা স্কুলের মাঠে। নেতৃত্বে ছিলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামচন্দ্র ডোম, জেলা সম্পাদক মনসা হাঁসদা, নানুরের বিধায়ক শ্যামলী প্রধান প্রমুখ। নেতৃত্বের দাবি, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসেছেন। অপ্রত্যাশিত জমায়েত হয়েছিল। মিছিল দৈর্ঘ্যেই ছিল প্রায় এক কিলোমিটার।
শাসকদল বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, এই বাজারে এই জমায়েত হেলাফেলার নয়। বিশেষ করে যখন রাজ্য প্রধান বিরোধী শক্তি হিসাবে নিজের পরিসর বাড়াতে শুরু করছে বিজেপি। মিছিলে লোক আনতে এ বার অন্য পথে হেঁটেছিল সিপিএম। মাস দু’য়েক আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সিউড়ি সফরের আগে যে ধরনের প্রচার দল চালিয়েছিল, এ বার সিপিএম সেটা করেনি। বাড়িতে বাড়িতে নিঃশব্দ প্রচার করে মিছিলে লোক আনাই কৌশল ছিল। আড়ালে সিপিএম নেতৃত্ব বলছেন, ‘‘প্রচার হলেই প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়। মানিক সরকারের সফরের সময়ে দলীয় পোস্টার, ব্যানার, পতাকা নামিয়ে দিয়েছিল শাসকদল। সেটা এড়াতেই এ বার কৌশল বদল করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy