Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

কবে হবে দমকল, প্রশ্ন সাঁইথিয়ায়

সরকারে ক্ষমতায় আসার আগে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা আশ্বাস দিয়েছিলেন, ভোটে জিতলে সাঁইথিয়ায় দমকল কেন্দ্র হবে। সে ভোটে জেতা কেবল নয়, আরও একটি ভোট পেরিয়ে গেল। দমকল কেন্দ্র মেলেনি আর! ইতিমধ্যে পুরসভা দমকল কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য জায়গা চিহ্নিত করেছে। দমকল মন্ত্রী জাভেদ খান নিজে সেই জায়গা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। শিলান্যাসও হয়েছে।

৭ নম্বর ওয়ার্ডের এই জমিতেই দমকল কেন্দ্র গড়ার কথা। —নিজস্ব চিত্র

৭ নম্বর ওয়ার্ডের এই জমিতেই দমকল কেন্দ্র গড়ার কথা। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৬ ০২:০২
Share: Save:

সরকারে ক্ষমতায় আসার আগে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা আশ্বাস দিয়েছিলেন, ভোটে জিতলে সাঁইথিয়ায় দমকল কেন্দ্র হবে। সে ভোটে জেতা কেবল নয়, আরও একটি ভোট পেরিয়ে গেল। দমকল কেন্দ্র মেলেনি আর! ইতিমধ্যে পুরসভা দমকল কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য জায়গা চিহ্নিত করেছে। দমকল মন্ত্রী জাভেদ খান নিজে সেই জায়গা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। শিলান্যাসও হয়েছে। তারপরও দু’ বছর কেটে গিয়েছে। দমকল কেন্দ্র নির্মাণের কাজে এখনও হাত পড়েনি!

সাঁইথিয়া নানা সমস্যায় জর্জরিত। তবে, দমকলের সমস্যা বেশি টের পাওয়া যায় গরম কাল এলে। চোখের সামনে ঘর-বাড়ি আগুনে পুড়ে যেতে দেখে মানুষ বার বার এই সমস্যাটির কথা বলেন। এলাকার কোথাও আগুন লাগলে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় কখন সিউড়ি থেকে দমকল এসে আগুন নেভাবে। দমকলের আসতে দেরী হওয়ায় ক্ষোভে ফুসতে থাকা লোকজন অনেক সময় দমকল কর্মীদের হেনস্থাও করেন। সেই কারণেই, এলাকার লোকজনের দীর্ঘ দিনের দাবি একটি দমকল কেন্দ্রের।

পুরপ্রধান বিপ্লব দত্তের অবশ্য দাবি, সাঁইথিয়ার ফায়ার স্টেশনের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘বাম আমলে দীর্ঘকাল থেকে শুনে আসছি এখানে দমকল কেন্দ্র হবে। সেটা ছিল গল্প। এই সরকার আসার পর পুরসভার পক্ষ থেকে দমকল কেন্দ্রর জন্য আবেদন করা হয়। সরকারি ছাড়পত্র মেলে। ইতিমধ্যে ভূমি দফতর মুরাডিহি মৌজা, জে এল নম্বর ৯৭, ১৩৬ দাগে ৩৮ একর জায়গা দমকল কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেছে।

এখন সিউড়ির দমকলের উপর সাঁইথিয়ার যে সব এলাকা নির্ভরশীল সেগুলি হল, সাঁইথিয়া ও ময়ূরেশ্বরের (২) বিস্তীর্ণ অঞ্চল-সহ ময়ূরেশ্বর (১), মহম্মদবাজার ও লাভপুরের একাংশ। কোথাও আগুন লাগলে এই এলাকার মানুষকে তাকিয়ে থাকতে হয় সিউড়ি দমকল বাহিনীর দিকে। সাঁইথিয়ার দেড়িয়াপুর, ফুলুর, বাতাসপুর, এলাকা বা ময়ূরেশ্বরের ষাটপলসা, লোকপাড়া, লাভপুরের ভালকুটির মতো এলাকা থেকে সিউড়ির কম বেশি দূরত্ব ২০-৫০ কিলোমিটার। কোনও কোনও এলাকার দূরত্ব তারও বেশি। ওইসব এলাকায় আগুন লাগলে সিউড়ি থেকে দমকল আসতে আসতে আগুনে পুড়ে যায় সব। সিউড়ি থেকে দমকল এসে পৌঁছয় তারপর। এ ছাড়া পর্যাপ্ত কর্মী না থাকাকেও কারণ হিসাবে দেখছেন কেউ কেউ। দফতর সূত্রে খবর, ৫৪ জন ফায়ার অপারেটরের মধ্যে আছে ৩৪ জন। তাই দিয়ে কাজ চালাতে হয়।

সিউড়ির দমকল কেন্দ্রের ওসি স্বপন কুমার দত্ত বলেন, ‘‘দমকলের ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, এ ব্যাপারে জেলা পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে (১) চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি চিঠি করেছেন নকশা ও এস্টিমেটের জন্য। কাজ যেভাবে এগোচ্ছে তাতে খুব আশা করা যায় দ্রুত ওখানে দমকল কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে যাবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Sainthia fire station waiting
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE