ক্ষুদিরাম গড়াই।
ব্রিগেডের সমাবেশে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের বাদল বাগদি ফিরে এসেছেন। কিন্তু, ওই সমাবেশে গিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি থানার মাদলা গ্রামের ক্ষুদিরাম গড়াইয়ের কোনও খবর নেই। শনিবার সমাবেশে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি ষাট বছরের ক্ষুদিরামবাবু। তাঁর অপেক্ষায় উদ্বেগ নিয়ে বসে রয়েছেন পরিবার পরিজনেরা।
ইতিমধ্যেই তাঁর ছেলে মঙ্গল গড়াই বাঘমুণ্ডি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন। তৃণমূল নেতৃত্বও খোঁজ শুরু করেছেন। এসডিপিও (ঝালদা) সুমন্ত কবিরাজ বলেন, ‘‘রাজ্যের বিভিন্ন থানা-সহ পড়শি রাজ্যের থানা এবং রেল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, তিনি ভুল করে অন্য কোনও ট্রেনে চেপে পড়ে থাকতে পারেন। ক্ষুদিরামবাবুর মোবাইল ফোন না থাকায় তদন্তে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।” জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুশান্ত মাহাতো বলেন, ‘‘দল তাঁর পরিবারের পাশে রয়েছে।’’
গত ১৮ জানুয়ারি গ্রামেরই ১২ জনের সঙ্গে তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে যান ক্ষুদিরামবাবু। ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রসন্নজিৎ মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, ১৮ জানুয়ারি বাঘমুণ্ডি থেকে বলরামপুর গিয়ে বরাভূম স্টেশন থেকে লালমাটি এক্সপ্রেস ধরেছিলেন তাঁরা। সে দিন কোনও কারণে লালমাটি এক্সপ্রেস হাওড়ার বদলে সাঁতরাগাছি পর্যন্ত যায়। সেখান থেকে ট্রেন বদল করে রাত ১২টা নাগাদ সবাই হাওড়ায় পৌঁছন। রাতটা স্টেশনে কাটিয়ে পরের দিন পৌঁছে যান ব্রিগেডের সমাবেশে।
প্রসন্নজিতের কথায়, ‘‘ব্রিগেডের সমাবেশে সবাই এক সঙ্গেই ছিলাম। ক্ষুদিরামবাবুও ছিলেন। কিন্তু, ফেরার সময়ে রাস্তায় এত লোকের ভিড় ছিল যে অনেকে দলছাড়া হয়ে যাই। পরে হাওড়া স্টেশনে সবার সঙ্গে দেখা হলেও ক্ষুদিরামবাবুকে দেখতে পাইনি।’’ পরের দিন বাঘমুণ্ডি পৌঁছন বাকিরা। প্রসন্নজিৎ বলেন, ‘‘ক্ষুদিরামবাবু আগেও অনেকবার দলীয় সভায়, মিছিলে যোগ দিতে কলকাতা গিয়েছেন। তাই, আমরা প্রথমে অতটা চিন্তিত ছিলাম না। ভেবেছিলাম তিনি ঠিক ফিরে আসবেন। কিন্তু, এত দিনেও না ফেরায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছি।’’
তিনি জানান, মঙ্গলবার ক্ষুদিরামবাবুর ছবি নিয়ে হাওড়া গিয়েছিলেন প্রসন্নজিৎ। সেখানে রেলপুলিশকে ক্ষুদিরামবাবুর ছবি ও বর্ণনা দিয়ে তাঁর খোঁজ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। পরের দিন, বুধবার ক্ষুদিরামবাবুর ভাই শ্রাবণ গড়াই গ্রামের আরও তিন বাসিন্দাকে নিয়ে হাওড়ায় খোঁজ করতে যান। ফেরার পথে আসানসোলেও খোঁজ করেন। কিন্তু, কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
পেশায় চাষি ক্ষুদিরামবাবুর দুই ছেলে মঙ্গলবাবু ও মকরবাবুর গ্রামেই মুরগি বিক্রির দোকান রয়েছে। ক্ষুদিরামবাবুর ভাই শ্রাবণ বলেন, ‘‘ভুল করে দাদা অন্য ট্রেনে চেপে বিহার বা ঝাড়খণ্ডে পৌঁছে গেলে সমস্যা আরও বাড়বে। কারণ দাদা হিন্দি জানে না। দাদা না ফেরা পর্যন্ত চিন্তায় আছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy