Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪
TMC Councilor

প্রেসার মাপতে বসতে বলায় নার্সকে ‘মারধর’ তৃণমূল কাউন্সিলরের! অভিযোগ অস্বীকার

অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর শেখ নাজিরউদ্দিন অবশ্য নার্সকে মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। উল্টে তাঁর দাবি, তাঁকে অকারণে বসিয়ে রাখা হয়েছিল হাসপাতালে।

অভিযোগকারী নার্স।

অভিযোগকারী নার্স। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:২৪
Share: Save:

রাতে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। প্রেসার মাপতে চেয়ে কর্তব্যরত নার্স তাঁকে কিছু ক্ষণ বসতে বসেছিলেন। সেই কারণে নার্সকে গালিগালাজ, এমনকি তাঁকে মারধর করারও অভিযোগ উঠল সেই কাউন্সিলর এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর শেখ নাজিরউদ্দিন অবশ্য নার্সকে মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। উল্টে তাঁর দাবি, তাঁকে অকারণে বসিয়ে রাখা হয়েছিল হাসপাতালে।

আরজি কর-কাণ্ডের পরে হাসপাতালে হাসপাতালে চিকিৎসক-নার্সদের নিরাপত্তার দাবিতে সরব হয়েছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা। কলকাতায় জুনিয়র ডাক্তারেরা যে সব দাবিতে ‘আমরণ অনশন’ করেছিলেন, সেগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল চিকিৎসক-নার্সদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি। এ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দীর্ঘ আলোচনাও হয়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটে এ বার শাসক নেতার বিরুদ্ধে হাসপাতালে ঢুকে ‘দাদাগিরি’, নার্সকে মারধরের অভিযোগ উঠল দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার রাতে হাসপাতালে এসেছিলেন দুবরাজপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাজিরউদ্দিন। অভিযোগ, প্রেসার মাপার জন্য তাঁকে বসতে বসতে বলায় হাসপাতালের নার্সকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা শুরু করেন কাউন্সিলর এবং তাঁর লোকজনেরা। শুধু তা-ই নয়, নার্সের গায়েও হাত তোলায় হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতাল সূত্রের দাবি, ওই ঘটনার সময় হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশকর্মী কাউন্সিলর ও তাঁর লোকেদের বাধা দিতে গিয়েছিলেন। সেই সময় ওই পুলিশকর্মীকেও ধাক্কা দেওয়া হয়। সেই ঘটনার পরেই দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নার্স। তিনি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছেও অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে।

নাজিরউদ্দিন যদিও ওই নার্সের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘আমি চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলাম হাসপাতালে। কিন্তু ওই নার্স কোনও কাজ না করে চুপচাপ বসেছিলেন। আমি বার বার বলছিলাম, আমার অস্বস্তি হচ্ছে। প্রেসারটা মেপে দিন। উনি শুধু বলছিলেন, ‘আপনাকে বসতে বলেছি তো!’ এর পরেই আমার সঙ্গে থাকা এক জনকে ভিডিয়ো করতে বলি। ওই সময় একটা লোক এসে আমার কলার ধরেছিল। তখনই আমি ধাক্কা দিই।’’

তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের অবশ্য বক্তব্য, কাউন্সিলর দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি শাস্তি পাবেন। তাঁর কথায়, ‘‘এই ঘটনা অনভিপ্রেত। পুলিশ গোটা ঘটনা তদন্ত করছে। দোষী হলে শাস্তি পাবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy