আনারুলকে গ্রেফতারের মুহূর্ত ফাইল চিত্র।
বগটুই-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত আনারুল হোসেনের জামিনের আবেদন খারিজ করল রামপুরহাট আদালত। শুক্রবার আনারুল-সহ সাত জনের জামিনের আবেদন খারিজ করা হয়েছে।
শুক্রবার আদালতে আনারুলের হয়ে মামলা লড়েছেন বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা। তিনি আনারুলের জামিনের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু সব পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর আনারুলের জামিনের আবেদন খারিজ করেন বিচারক। বন্দি হিসেবে তাঁর মক্কেলকে যাতে সমস্ত সুযোগসুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়, জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর বিচারকের কাছে এই আবেদনও করেছেন আনারুলের আইনজীবী।
এ ছাড়াও মুম্বই থেকে যে চার গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের রামপুরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয় শুক্রবার। ওই চার জনকেই সাত দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ধৃতদের নাম বাপ্পা শেখ, সাবু শেখ, সিরাজুল ইসলাম ও তাজ মহম্মদ। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করে ওই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ২১ মার্চ রাতে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ন’জনের মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত আট জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষার আবেদন জানায় সিবিআই। রামপুরহাট আদালত জানায়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওই আবেদনের শুনানি হবে রামপুরহাট সেকেন্ড ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে। সেখানেই রায় দান করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুইয়ে গিয়ে আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, খুন, খুনের চেষ্টা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা, মারধর, লুটপাট-সহ নানা ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তখন রাজ্যের গঠন করা সিট বগটুই-কাণ্ডের তদন্ত করছিল। ঘটনাচক্রে, আনারুল গ্রেফতার হওয়ার পরেই তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। গ্রেফতার হওয়ার পর আনারুল বলেছিলেন, তিনি নির্দোষ। চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy