পড়ে আছে তার। —নিজস্ব চিত্র
কয়লা বোঝাই মালগাড়ির কয়লায় লেগে ওভারহেডের তার ছিঁড়ে ব্যাহত হল ট্রেন চলাচল।
রবিবার সকালে সাড়ে ৮টা নাগাদ বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে সাঁইথিয়া স্টেশনে রেল সেতুর নীচে দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মের ঘটনা। তারে বিদ্যুৎ থাকলেও ওই লাইনে এখনও বৈদ্যুতিন ট্রেন চালু হয়নি। ঘটনার পরেই সাময়িক ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নও করে দেওয়া হয়।
রেল সূত্রের খবর, এ দিন বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর থেকে কয়লা বোঝাই একটি মালগাড়ি ফরাক্কার দিকে যাচ্ছিল। মালগাড়ির মাঝের দিকের বগিতে কয়লার দু’-তিনটি বড় বড় চাঙর উঁচু হয়েছিল। সাঁইথিয়ার রেল সেতুর নীচ দিয়ে যাওয়ার সময়ে মালগাড়ির উঠে থাকা কয়লায় ওভারহেড তারে ধাক্কা লাগে। ধাক্কার ফলে ওভারহেডের দু’টি তার থেকে আগুনের স্ফূলিঙ্গ বেরোতে থাকে। তার ছিড়ে মালগাড়ি ও রেল লাইনের উপর পড়ে যায়। চালক সঙ্গে সঙ্গে মালগাড়িটি থামিয়ে দেন। দুর্ঘটনা এড়াতে রেল কর্তৃপক্ষ প্ল্যাটফর্ম ও স্টেশন চত্বরে থাকা লোক জনের উদ্দেশে সতর্কবার্তা ঘোষণা করেন।
ঘটনার জেরে রামপুরহাটগামী বর্ধমান-বরহরয়া প্যাসেঞ্জারকে সাঁইথিয়ার আউটারে থামিয়ে দেওয়া হয়। রেল পুলিশ ও রেল সুরক্ষা বাহিনীর কর্মীরাও কার্যত প্ল্যাটফর্ম ঘিরে ফেলে যাত্রীদের সরিয়ে দেয়। অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বরহরয়া প্যাসেঞ্জারে বাড়ি যাবেন বলে ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিলেন রামপুরহাটের সুনীল রায়, সুতপা রায়রা। তাঁরা বলেন, ‘‘আমরা যেখানে দাঁড়িয়েছিলাম, তার সামান্য দূরেই ঘটনাটি ঘটে। তারের আগুনের ঝলকানি দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে দূরে সরে চলে গিয়েছিলাম।’’ একই কথা বলেন মুরারইয়ের শেখ সাবের, ময়না বিবি, রজত অঙ্কুররাও। তার ছিড়ে পড়ার খবর পেয়ে রামপুরহাট থেকে লাইনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা সাঁইথিয়া স্টেশনে পৌঁছে যান। তাঁরা ছিড়ে যাওয়া তারটিকে জোড়ার কাজ শুরু করেন।
সাঁইথিয়া স্টেশন ম্যানেজার পুলক রায় পরে বলেন, ‘‘ওভারহেডের তারে ধাক্কা লেগে তার ছিঁড়ে পড়ায় এই বিপত্তি। কিছু ক্ষণের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। আউটারে থামিয়ে দেওয়া ট্রেন মিনিট পনেরো পরে ছাড়ে।’’ তিনি আরও জানান, লাইনে এখনও বৈদ্যুতিন ট্রেন চালু না হওয়ায় ওভারহেড লাইনে যে ভোল্টের বিদ্যুৎ থাকার কথা, তার চেয়ে অনেক কম ছিল। পাশাপাশি রেল কর্মীরা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় তেমন কোনও বিপদ ঘটিনি। মিনিট পনেরোর মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy