Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

১৪৮টি মুদ্রা-সহ পুলিশের ফাঁদে দুই

উর্দু হরফ লেখে কয়েকশো সোনার মুদ্রা নিয়ে বিক্রি করতে এসেছিলেন কারবারিরা। কিন্তু খদ্দের মুদ্রা কিনতে এসে পকেট থেকে টাকার বদলে বের করলেন পিস্তল। সিআইডি-র স্পেশাল অপারেশান গ্রুপের হাতে বুধবার রাতে বোলপুরের প্রান্তিক এলাকার একটি অতিথি আবাসের কাছ থেকে গ্রেফতার হলেন দুই মুদ্রা কারবারি। আটক করা হয় উর্দু হরফ লেখে ১৪৮টি সোনার মুদ্রা। সেই সঙ্গে আরও ২০০টি সোনার মতো কোনও ধাতুর মুদ্রাও বাজেয়াপ্ত করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বোলপুর শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১৪
Share: Save:

উর্দু হরফ লেখে কয়েকশো সোনার মুদ্রা নিয়ে বিক্রি করতে এসেছিলেন কারবারিরা। কিন্তু খদ্দের মুদ্রা কিনতে এসে পকেট থেকে টাকার বদলে বের করলেন পিস্তল। সিআইডি-র স্পেশাল অপারেশান গ্রুপের হাতে বুধবার রাতে বোলপুরের প্রান্তিক এলাকার একটি অতিথি আবাসের কাছ থেকে গ্রেফতার হলেন দুই মুদ্রা কারবারি। আটক করা হয় উর্দু হরফ লেখে ১৪৮টি সোনার মুদ্রা। সেই সঙ্গে আরও ২০০টি সোনার মতো কোনও ধাতুর মুদ্রাও বাজেয়াপ্ত করা হয়। ধৃত আব্দুল হাজি ও শেখ বালুর বাড়ি সাঁইথিয়া থানার কল্যাণপুর গ্রামে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বোলপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে, সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

রাজ্য পুলিশের অপরাধ দমন শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শাখার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের অফিসার সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায় কাছে খবর ছিল এহেন প্রাচীন মুদ্রার কারবার হচ্ছে প্রান্তিক এলাকায়। খবর পেয়ে, ফাঁদ পাতে গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার খদ্দের সেজে তাঁরা প্রান্তিকের কাছে একটি বেসরকারি অতিথি নিবাসের কাছে থেকে ওই দু’জনকে পাকড়াও করে। সরকার পক্ষের আইনজীবী ফিরোজকুমার পাল বলেন, ‘‘১৪৮টি মুদ্র সোনার। তবে বাকি ২০০টি মুদ্রা সোনার কি না তা পরিষ্কার নয়। সব মুদ্রার উপরেই উর্দু হরফ রয়েছে। তদন্তের জন্য পুলিশ ধৃতদের ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল। বোলপুরের এসিজেএম সঙ্ঘমিত্রা পোদ্দার তাদের ৭ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, মুদ্রাগুলি প্রাচীন। তবে তা কোন সময়ের তা জানতে মুদ্র বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চাইছেন তদন্তকারীরা। গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শুধু বীরভুমেই নয় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনকে ডেকে এই মুদ্রা বিক্রি করা হতো।

দীর্ঘদিন ধরে এই চক্র এলাকায় সক্রিয়। অনেককে প্রতারণা করারও অভিযোগ রয়েছে এই দলের বিরুদ্ধে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই দলের বাকি সদস্য ও পান্ডার কাছে পৌঁছতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE