অপেক্ষা: চালু হবে তাড়াতাড়ি। যন্ত্র এনে রাখা হয়েছে বাঁকুড়া স্টেশনে। নিজস্ব চিত্র
ট্রেনের ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। অথচ টিকিট কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন যেন এগোচ্ছেই না। বাঁকুড়া রেল স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে গিয়ে এমন অভিজ্ঞতা প্রায়ই হয়ে থাকে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। বিশেষ করে দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেন ও লোকাল ট্রেন যখন কাছাকাছি সময় বা একই সঙ্গে বাঁকুড়া স্টেশনে আসে, তখন তো কথাই নেই। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই যাত্রীদের ক্ষোভ ছিল। তবে এই সমস্যা এ বার মিটতে চলেছে বলে আশ্বাস দিচ্ছে রেল।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশন সূত্রের খবর, বাঁকুড়া রেল স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে বসানো হতে চলেছে টিকিট ভেন্ডিং মেশিন। স্বয়ংক্রিয় এই মেশিনে যাত্রীরা নিজেরাই টিকিট কেটে নিতে পারবেন। বাঁকুড়া স্টেশনে ইতিমধ্যে দু’টি টিকিট ভেন্ডিং মেশিন আদ্রা ডিভিশনের তরফে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেবল বাঁকুড়া স্টেশনেই নয়। বিষ্ণুপুর ও পুরুলিয়া রেল স্টেশনে দু’টি করে, বার্নপুর ও বোকারো স্টিল সিটি রেল স্টেশনে তিনটি করে এবং আদ্রা স্টেশনে চারটি টিকিট ভেন্ডিং মেশিন বসানো হচ্ছে। রেলের বাঁকুড়ার স্টেশন ম্যানেজার সাধনকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দু’টি টিকিট ভেন্ডিং মেশিন বাঁকুড়ায় চালু করা হবে। মেশিনগুলি এসে গিয়েছে। শীঘ্রই সেগুলি চালু করা হবে।”
ঘটনা হল, বাঁকুড়া রেল স্টেশনে তিনটি টিকিট কাউন্টার থাকলেও সব ক’টি এক সঙ্গে চালু থাকে না। এর ফলে ব্যস্ত সময়ে টিকিটের জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয় যাত্রীদের। বাঁকুড়ার বাসিন্দা অরূপ রায় বলেন, “এক সঙ্গে দু’টি ট্রেন স্টেশনে ঢোকার মুখে টিকিট কাউন্টারে ব্যাপক ভিড় হয়। যে দিন কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষা থাকে, সেদিনও দূরদূরান্তের মানুষ এই শহরে আসেন। তখন টিকিট পাওয়াই মুশকিল হয়ে যায়। সব ক’টি টিকিট কাউন্টারও চালু থাকে না।”
কেন তিনটি টিকিট কাউন্টার এক সঙ্গে চালু থাকে না? বাঁকুড়া স্টেশনের এক আধিকারিক বলেন, “মোট ১৫ জন কর্মী নিয়ে টিকিট কাউন্টার চালাতে হয়। কর্মী সঙ্কটের জন্যই তিনটি কাউন্টার এক সঙ্গে খোলা যায় না। তবে দিনের বেশির ভাগ সময়ই দু’টি কাউন্টার এক সঙ্গে খোলা থাকে।”
টিকিট ভেন্ডিং মেশিন চালু হলে সমস্যা কতটা মিটবে তা নিয়েও অবশ্য প্রশ্ন রয়েছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মেশিনে আপাতত কেবল লোকাল ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে। যাত্রীদের ওই মেশিন চালনায় অভ্যস্ত হতেও সময় লাগবে বলে অভিমত বিভিন্ন মহলের। বাঁকুড়ার স্টেশন ম্যানেজার অবশ্য বলেন, “মেশিন চালু হলে এক জন কর্মী থাকবেন যাত্রীদের টিকিট কাটার পদ্ধতি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য। পরে যাত্রীরা অভ্যস্ত হয়ে গেলে কাউন্টারে টিকিট কাটার ভিড় কমে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy