বেপরোয়া: অনেকের মুখেই নেই মাস্ক। রামপুরহাটে। নিজস্ব চিত্র
লকডাউন শিথিল করে খুলল অনেক দফতর। তাই রাস্তাঘাটে ভিড়ও ছিল বেশি। সরকারি-বেসরকারি নানা ক্ষেত্রে কাজ শুরু করে ছন্দে ফেরার চেষ্টা দেখা গিয়েছে জেলাজুড়েই। প্রয়োজনীয় সতর্কতা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে সরকারি নানা দফতরে। ব্যবসা শুরু করেছে হোটেল, শপিং মলগুলিও।
মাস্ক পরে কাজে
জেলা সদর সিউড়িতে সরকারি অফিস, যেগুলি সোমবার থেকে খুলেছে, সেগুলিকে ভালভাবে স্যানিটাইজ় করা হয়েছে। কর্মীদের মধ্যে কঠোরভাবে দূরত্ববিধি ও মাস্ক ব্যবহারের বিষয়টি দেখা হবে কবলে জানান জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। অফিসে ঢোকার মুখে থাকছে স্যানিটাইজ়ারও। মাস্ক পরেই কাজ করতে দেখা গিয়েছে কর্মীদের। বোলপুরে প্রশাসনিক ভবনে ঢোকার মুখে সবার দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়। রামপুরহাট মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় প্রায় অফিসে ৯৫ শতাংশ কর্মী হাজিরা দিয়েছেন।
গ্লাভস হাতে পরিবেশন
হোটেল খুললেও সেখানেও দেখা গিয়েছে সংক্রমণ এড়াতে সতর্কতা। সিউড়িতে জেলা সংশোধনাগারের কাছাকাছি একটি ভাতের হোটেলে খদ্দের ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর হাতে স্যানিটাইজার দেওয়া হয়। চারজনের টেবিলে দু’জনকে বসানো হয়েছে। খাবার পরিবেশনের জন্য ডিসপোজেবল থালা বাটি গ্লাস ব্যবহার করা, হাত ধোয়ার সময় পরপরের মধ্যে দূরত্ব বিধি বজায় রাখাতে মাঝে একটি করে বেসিন বন্ধ রাখা হয়েছিল। কেউ অসুস্থ বোধ করলে হোটেলেই তাঁর জন্য আইসোলেশন রুমের ব্যবস্থা রাখা হয়। হোটেলের মালিক শান্তনু আচার্য বলেন, কর্মীরা গ্লাভস, ফেসশিল্ড, টুপি পরে খাবার দেন। তাঁদের জন্য প্রতিদিন থার্মল স্ক্রিনিং এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সুরক্ষার জন্য টাকা লেনদেনের কাউন্টারটিকে কাচ দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে।
খুলল শপিং মল
সিউড়িতে শপিং মলে সচেতনতা বাড়াতে সরকারি নির্দেশাবলী ও কী কী করণীয় লিখে সকলের নজরের সামনে সাঁটিয়ে রাখা হয়েছিল। খদ্দেরদের পাশাপাশি যাতে কর্মীরা নিজেরা যাতে সুরক্ষিত থাকেন সেজন্য শপিং মলের কর্মীদের এ দিন ফেস শিল্ড , হাতে গ্লাভস ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। বোলপুরে ক্রেতাদের থার্মাল স্ক্রিনিং থেকে শুরু করে স্যানিটাইজ়ার দিয়ে হাত ধোয়ানোর ব্যবস্থা হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জিনিস কেনাকাটা, মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে না দেওয়া প্রভৃতি ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রামপুরহাট শহরে বেশিরভাগ শপিং মল খোলেনি। যেগুলি খুলেছিল সেগুলিতে তেমন ভিড় ছিল না। এর আগে ইদের সময় যে ভিড় ছিল এ দিন তা দেখা যায়নি।
উদ্বেগ বহাল
জেলায় করোনা সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়তে থাকলেও লকডাউনের শিথিল হওয়ার প্রথম পর্ব থেকে কিছু মানুষের মধ্যে যে বেপরোয়া মনোভাব দেখা গিয়েছিল, শিথিলপর্বের দ্বিতীয় দফায় সেই বেপরোয়া ভাব আরও বেড়েছে গোটা জেলাতেই। মল, হোটেল বা সরকারি অফিসে ছবিটা সরকারি নির্দেশ মোতাবেক হলেও রাস্তাঘাটে দূরত্ববিধি শিকেয় উঠেছে। এমনকি, অনেককে মাস্ক না পরেই রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছে। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে বলে খবর নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy