আহত গণেশ ডাং। নিজস্ব চিত্র।
এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল প়ড়শির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে বিষ্ণুপুর থানার লয়ার গ্রামের ঘটনা। ওই দিন মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে সাইকেল চালিয়ে মন্দিরে যাচ্ছিল জয়কৃষ্ণপুর হাইস্কুলের ছাত্র গণেশ ডাং। সেই সময়ে উল্টো দিক থেকে সাইকেল চালিয়ে আসা এক কিশোরীর সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। ওই কিশোরীর সাইকেল থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে আনা খাবার রাস্তায় পড়ে যায়। মাঠ থেকে ফেরার পথে কিশোরীর বাবা দিলীপ সীট ঘটনাটি দেখেন। গণেশের বাবা, পেশায় খাবার বিক্রেতা অরুণ ডাং-এর অভিযোগ, দিলীপবাবু তখন গণেশকে বেধড়ক মারধর করেন।
গণেশকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় রাধানগর গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে রাধানগর হাইস্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে সে পরীক্ষা দেয়। তার পরে তাকে ভর্তি করানো হয় বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে। হাসপাতালের সুপার পৃথ্বীশ আকুলি বলেন, ‘‘ওই কিশোরের সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে। কোনও অস্বাভাবিকতা নজরে পড়েনি। পরীক্ষা থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’’
গণেশের বাবা অরুণবাবু জানান, ওই পড়শির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে দিলীপবাবু দাবি করেন, তিনি শুধু ওই কিশোরকে বকাবকি করেছিলেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, অরুণবাবুই তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে গালিগালাজ করেন। বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, দুই পক্ষই থানায় গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করেছে। লিখিত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।
শুক্রবার গণেশ বলে, ‘‘খুব মাথায় যন্ত্রণা হচ্ছিল। ইংরেজি পরীক্ষা ভাল করে দিতে পারিনি। ইতিহাস পরীক্ষাটা ঠিক করে দিতে পারব কি না জানি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy