ভাঙচুরের পরে। নিজস্ব চিত্র
মধ্যরাতে বিজেপি কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায় পাত্রসায়রের বেলুট-রসুলপুর পঞ্চায়েতের গড়েরডাঙায়। ঘটনার দায় নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। উত্তেজনা থাকায় সকালে গড়েরডাঙা গ্রামে এসেছিল পুলিশ।
বিজেপির অভিযোগ, সোমবার মধ্যরাতে গড়েরডাঙায় তাদের কার্যালয়ে হামলা চালায় তৃণমূল মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা। বিজেপির পাত্রসায়র ২ মণ্ডলের সভাপতি তমালকান্তি গুঁইয়ের দাবি, দুষ্কৃতীরা দেওয়াল ভেঙে কার্যালয়ে ঢোকে। তারপর ভাঙা হয় আলমারি এবং জিনিসপত্র সাজিয়ে রাখার একটি আসবাব। ওই বিজেপি নেতার অভিযোগ, ‘‘আমাদের দলের পতাকা পোড়ান হয়েছে। আলমারিতে থাকা নথি এবং একটি টেলিভিশন চুরি করে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। বিষ্ণুপুরের দলীয় সাংসদের ছবি ছিঁড়ে ফেলা হয়।’’
এ দিন সকালে ঘটনার কথা জানাজানি হলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি কর্মীরা ভিড় করেন কার্যালয়ের সামনে। খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন পুলিশকর্মীরা।
এ দিকে, তৃণমূলের দাবি, ওই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি পার্থপ্রতিম সিংহের দাবি, ‘‘জনসমর্থন হারিয়ে বিজেপি এই সব নাটক করছে। তৃণমূল কোনও ভাবেই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়। বিজেপি নিজেই এই সব ঘটাচ্ছে।’’
কিন্তু কেন বিজেপি নিজের কার্যালয়ে হামলা চালাবে?
পার্থপ্রতিমবাবুর যুক্তি, ‘‘ওরা ঝাড়খণ্ডে হেরেছে। এনআরসি নিয়ে মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষেপে গিয়েছে। এখন ওদের মুখ লুকনোর জায়গা নেই।’’
অন্য দিকে, বিজেপির পাল্টা দাবি, গড়ারডাঙায় তারা শক্তিশালী বলেই সেখানকার দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। তমালকান্তিবাবুর অভিযোগ, ‘‘এখানে বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা উচ্চ আদালতে জামিন পেয়ে ফিরে এসেছেন। ফলে গড়েরডাঙায় বিজেপির সংগঠন আরও মজবুত হয়েছে। সেই কারণেই এই আক্রমণ।’’ সঙ্গে সংযোজন, ‘‘এটি শুধুমাত্র একটি চুরির ঘটনা হলে নথিপত্র লুট হত না। দলীয় পতাকা পোড়ানো হত না। এ ভাবে বিজেপিকে দমানো যাবে না।’’
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিজেপি কার্যালয়ে হামলা হয়েছে বলে কোনও লিখিত অভিযাগ তাদের কাছে জমা পড়েনি। অভিযোগ দায়ের হলে তার তদন্ত হবে। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘আমাদের মৌখিত ভাবে ঘটনার কথা জানানো হয়েছে, লিখিত কোনও কিছু দেওয়া হয়নি।’’ তমালবাবু জানান, লিখিত অভিযোগ জানানো হচ্ছে।
গত লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরে একাধিকবার রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছে বেলুট। গত জুন মাসে তৃণমূল কার্যালয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। তছনছ করা হয়েছিল আসবাবপত্র। কিছুদিন আগে তৃণমূলের এক মহিলা নেত্রীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও দু’টি ক্ষেত্রেই অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy