সাজ: বাঁকুড়ায় নিজস্ব চিত্র।
কার্টুন চ্যানেল ছাড়িয়ে দুর্গাপুজো, সরস্বতী পুজোর থিমে অনেক আগেই নেমে এসেছে ওরা। এ বারে হোলির বাজারের দখলও নিল ছোটা ভীম, মটু-পাতলুরা। হোলির আগে শনিবার বাঁকুড়া শহরে ঘুরে দেখা গেল রং বিক্রি যেমনই হোক, কার্টুনের মুখোশ বিকিয়েছে রমরমিয়ে।
হোলির বাজার এ বারে তেমন জমেনি বলে হাপিত্যেশ করছেন বাঁকুড়ার বহু ব্যবসায়ীই। শনিবার মাচানতলায় রঙের পসরা সাজিয়ে বসে নীলমণি দে বলেন, “আবির আর কাঁচা রঙের বিক্রি তেমন নেই। মার খাচ্ছে পিচকারিও। সত্যি বলতে কার্টুনের মুখোশ ছাড়া তেমন কিছুই বিকোচ্ছে না।”
পাশাপাশি ভূত, কঙ্কাল, বজরংবলী-র প্লাস্টিকের মুখোশও দেদার বিকোচ্ছে। দাম শুরু দশ টাকা থেকে। মাচানতলার আর এক ব্যবসায়ী অসিত গড়াই বলেন, “আবির বা কাঁচা রং যতটা তুলেছি, তার অর্ধেকও বিক্রি হয়নি। তবে কচিকাচাদের দৌলতে মুখোশ বিক্রি জমে যাওয়ায় এ যাত্রায় ব্যবসার মুখরক্ষা হয়েছে।’’
কিন্তু বাজার খারাপ কেন?
ব্যবসায়ীদের একাংশ মনে করছেন, সামনেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তার প্রভাব পড়ে থাকতে পারে এ বারের রং বিক্রিতে। আবার অনেকের মতে, গত দু-তিন দিন ধরে খামখেয়ালি আবহাওয়ার জের বিক্রিবাটায় পড়ে থাকতে পারে।
তবে এই মন্দার বাজারে দাম বেশি হলেও প্রাকৃতিক আবির ও কাঁচা রঙের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, অন্য আবির ১০ টাকাতে মিললেও প্রাকৃতিক আবির ও রঙের প্যাকেটের দাম শুরুই হচ্ছে ৩০ টাকা থেকে। এ দিন মাচানতলার মোড়ের দোকান থেকে প্রাকৃতিক আবির কিনছিলেন কলেজছাত্রী তিথি গরাই, প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়রা। তাঁরা বলেন, “রাসায়নিক আবিরের দাম কম হলেও ওটা ব্যবহার করলে অনেক সমস্যা হয়। পরিমানে কম নিলেও প্রাকৃতিক আবিরই নিলাম।” একই কথা জানালেন বাঁকুড়ার যুবক মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্যও।
বাঁকুড়া চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক মধুসূদন দরিপা বলেন, “বাঁকুড়ার ক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ এখন দামের থেকেও গুনমান বেশি যাচাই করছেন। এটা ভাল ব্যাপার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy