প্রতীকী ছবি।
স্ত্রীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে স্বামী-সহ একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মল্লারপুরের বাসিন্দা নিহত মহিলার নাম পিঙ্কি দাস (৩০)। শুক্রবার ভোরে রামপুরহাটের চাঁদনি মোড় থেকে পিঙ্কির স্বামী লাল্টুকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কাষ্ঠগড়া গ্রাম থেকে খুনে সাহায্য করার অভিযোগে লাল্টুর বন্ধু তাপস মালকে ধরা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মল্লারপুরের আড়াল গ্রামের যুবক পেশায় গাড়ির মেকানিক লাল্টুর সঙ্গে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের অজিত দাসের মেয়ে পিঙ্কির বিয়ে হয়েছিল বছর আটেক আগে। তাঁদের সাত বছরের একটি ছেলেও আছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকে পিঙ্কি ও লাল্টুর মধ্যে বনিবনা ছিল না। মতের মিল না হওয়ায় প্রায়ই ঝগড়া হত। সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় চার বছর ধরে মল্লারপুরের বাহিনা এলাকায় বাড়ি ভাড়া করে ছেলেকে নিয়ে থাকছিলেন ওই মহিলা। পরস্পরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করেছিলেন ওই দম্পতি। অজিতবাবুর অভিযোগ, ‘‘জামাইয়ের বিরুদ্ধে খোরপোষের মামলা করার পর থেকেই বারবার মেয়ের বাড়িতে গিয়ে চাপ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যাতে মামলা তুলে নেয়। অধিক রাতে মেয়ের বাড়িতে যেত।’’
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবারও ছেলেকে নিয়ে ঘুমোতে যাওয়ার সময় পিঙ্কির ঘরে হাজির হন লাল্টু ও তাঁর সঙ্গী তাপস। ছেলে ঘুমোচ্ছে বলে শোয়ার ঘরের পাশেই অন্য একটি ঘরে বসে কথা বলার জন্য পিঙ্কিকে ডেকে নিয়ে যান লাল্টু। সেখানেই পিঙ্কির মুখ চেপে ছুরি দিয়ে গলার নলি কেটে দেন লাল্টু। খুন করার সময় পিঙ্কির পা চেপে ধরেছিলেন তাপস। জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানান জেলার পুলিশ কর্তারা।
এ দিকে ঘুম ভেঙে মাকে দেখতে না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে পিঙ্কির ছেলে। ফোন করে অজিতবাবুকে জানায়। তাঁর কান্নার আওয়াজ পেয়ে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তাঁরাই প্রথম ভেজানো দরজা ঠেলে শোয়ার ঘরের পাশের ঘরটিতে ঢুকে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পিঙ্কির নিষ্প্রাণ দেহ পড়ে আছে। মল্লারপুর থানার পুলিশ রাতেই তল্লাশি শুরু করে। ভোরবেলা দু’জনকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, নৃশংস এই খুনের ঘটনা পরিকল্পনামাফিক। স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের অবনতির জন্যই এমন নৃশংস খুন না এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। শুক্রবার দুই অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে সরকারি আইনজীবী ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আর্জি জানালে বিচারক ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy