প্রস্তাব: রবীন্দ্রভবনে এক কন্যাশ্রী বড়দি। ছবি: সুজিত মাহাতো
কিছু দিন আগে জেলাশাসক নিজের চোখে দেখে এসেছেন। এ বার কন্যাশ্রীরাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, পুরুলিয়ার অনেক স্কুলেরই মূল সমস্যাটা শৌচাগার সংক্রান্ত।
বুধবার, কন্যাশ্রী দিবসে জেলার মূল অনুষ্ঠানটি হয়েছে পুরুলিয়া শহরের রবীন্দ্র ভবনে। সেখানে কন্যাশ্রী বড়দিদের থেকে প্রস্তাব ও পরামর্শ চেয়েছিল প্রশাসন। করিডোরে রাখা ছিল ব্লক ও পুরএলাকার স্কুলগুলির জন্য আলাদা আলাদা বোর্ড। সেখানে অধিকাংশ ছাত্রীই লিখেছে শৌচাগার সংক্রান্ত সমস্যার কথা। কেউ লিখেছে স্কুলের শৌচাগারে জল নেই। কেউ বলেছে, প্রয়োজনের তুলনায় শৌচাগার কম। কারও অভিযোগ, ঠিক মতো পরিষ্কার হয় না শৌচাগার।
পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদারও বলেছেন তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা। তাঁর কথায়, ‘‘কিছু দিন আগে একটি স্কুলে গিয়েছিলাম। শৌচাগারের অবস্থা দেখে অবাক হয়ে যাই। সেটি ব্যবহার করার অবস্থাতেই নেই। ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, তারা পাঁচ-ছ’ ঘণ্টা শৌচাগারে যায় না।’’
এ দিন মানবাজারের সেই স্কুলের কথা পর্দায় দেখানো হয়। দেখানো হয় ঝালদার একটি স্কুলের ছবিও। ১,৬০০ পড়ুয়া। শৌচাগার একটি। ছাত্রীরা জানাচ্ছে, প্রয়োজনে তারা পঞ্চায়েত অফিস বা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যায়। জেলাশাসক এ দিন বলেন, ‘‘এই দায় শুধু দু’টি স্কুলের নয়। আমাদের সবার।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলগুলির শৌচাগারগুলি কী অবস্থায় রয়েছে তা জানতে বিডিওদের তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, স্বনির্ভর দলের সদস্যারাও রিপোর্ট দেবেন। একটি স্কুলে রান্নার দায়িত্বে থাকা স্বনির্ভর দল অন্য স্কুলে গিয়ে শৌচাগারের অবস্থা খতিয়ে দেখবে। প্রশাসন জানিয়েছে, কন্যাশ্রী বড়দিদের থেকে পাওয়া প্রস্তাবগুলিকে সামনে রেখে এর পরের পরিকল্পনা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy