নতুন কাঠামো অনুযায়ী, বছরে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে দিতে হবে না কোনও কর। সরকারি এবং বেসরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে বার্ষিক ১২.৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে প্রযোজ্য হবে এই নিয়ম। কেন্দ্রীয় বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই ঘোষণা করতেই উঠেছে একটি প্রশ্ন। এই ছাড়ের পর আয়কর রিটার্ন (আইটি রিটার্ন) জমা করবেন কারা? আয়করের পরিমাণ শূন্য হলে রিটার্ন জমা দেওয়া আদৌ কি কোনও প্রয়োজন রয়েছে?
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, যাঁদের আয় মূল ছাড়ের সীমার বেশি, তাঁদের বাধ্যতামূলক ভাবে জমা করতে হবে আইটি রিটার্ন। পুরনো কর কাঠামোতে এটি আড়াই লক্ষ টাকা। অন্য দিকে নতুন কাঠামোতে কর যোগ্য আয় চার লক্ষ টাকা ধার্য করেছে সরকার।
আর্থিক বিশ্লেষকদের দাবি, বাধ্যতামূলক ভাবে আয়কর রিটার্ন জমা করার বিষয়টি আয়ের স্তরের উপর নির্ভর করে। কে কত টাকা কর দিচ্ছেন তার উপর নয়। অর্থাৎ আয়করের পরিমাণ শূন্য হলেও আইটি রিটার্ন ফাইল করতে হবে।
আয়কর রিটার্ন ফাইল করার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এটি করদাতার পরিষ্কার আর্থিক রেকর্ড বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়া, ভিসা এবং অন্যান্য আর্থিক পরিষেবাকে সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রেও সুবিধা পেয়ে থাকেন তিনি।
শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা বলেন, ‘‘বছরে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে করদাতাদের স্ল্যাব রেট হ্রাসের সুবিধার সঙ্গেই কর ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এই আয়ে একটি টাকাও কর দিতে হবে না তাঁদের।’’ গত বছরের বাজেটে নতুন কর কাঠামোর ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশানের পরিমাণ বাড়িয়ে ৭৫ হাজার করেন তিনি। আগে এটি ছিল ৫০ হাজার টাকা। এ বারের বাজেটে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশানের নিয়ম অপরিবর্তিত রেখেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা।