সবুজের সমারোহ। ঝালদার কাঁসরার জঙ্গলে। ছবি: দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়
সবুজায়ন করে ‘রূপসী বাংলা’ সম্মান পেতে চলেছে পুরুলিয়া বন দফতরের ঝালদা রেঞ্জ। সম্প্রতি রাজ্য সরকার জেলাকে এই খবর জানিয়েছে।
এ বছর রাজ্যের মধ্যে একমাত্র ওই বনাঞ্চলই সেরার শিরোপা পেতে চলেছে।
পুরুলিয়ার ডিএফও অঞ্জন গুহ শুক্রবার বলেন, ‘‘ওই সম্মান সমগ্র পুরুলিয়াবাসীর গর্ব। এ বার আমরা আরও ভাল কাজের অনুপ্রেরণা পাব।’’ সংশ্লিষ্ট বনাঞ্চলের আধিকারিক ও বনকর্মীদের পাশাপাশি যৌথ বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করেন ডিএফও।
বন দফতর সূত্রে খবর, ১৪-২১ জুলাই রাজ্য জুড়ে বনমহোৎসব পালিত হবে। শুরুর দিন কলকাতার ইডেন গার্ডেনের মূল অনুষ্ঠানে ‘রূপসী বাংলা’ সম্মান দেওয়া হবে ঝালদা বনাঞ্চলকে। তবে শুধু ঝালদাই নয়, পুরুলিয়া জেলার বাকি বনাঞ্চলগুলিও বনসৃজনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভাল
কাজ করেছে বলে দাবি করেছে বন দফতর।
ওই সম্মান দেওয়ার আগে কয়েকটি দিক বিবেচনা করে দেখা হয়। ডিএফও জানাচ্ছেন, বনসৃজনের ক্ষেত্রে টানা পাঁচ বছরের কাজের মূল্যায়নের নিরিখে ওই সম্মান দেওয়া হয়। বনসৃজনের মাধ্যমে দূষণমুক্ত সবুজ পরিবেশ গঠন ও উন্নয়নের কাজে দৃষ্টান্তমূলক অবদানের স্বীকৃতিই হচ্ছে ওই সম্মান।
বন দফতর সূত্রে খবর, ঝালদা বনাঞ্চলের কলমা বিটের কাঁসরার জঙ্গলে বনসৃজন করে ওই সম্মান মিলছে। শাল-মহুলের ঘন
জঙ্গলের মাঝে মোট ২০ হেক্টর জমির উপর গজিয়ে উঠেছে শাল,
অর্জুন, করম-সহ নানা ধরনের গাছগাছালি।
এই খবরে পুরুলিয়াবাসী হিসেবে গর্ববোধ করছেন পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত ‘গাছদাদু’ বলে পরিচিত ঝালদা লাগোয়া বাঘমুণ্ডির সিঁদরি গ্রামের দুখু মাঝি। একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ‘‘ঝালদা রেঞ্জ এই সম্মানের জন্য বিবেচিত হয়েছে শুনে গর্ব হচ্ছে। তবে শুধু বন দফতরের উপরে ভরসা করে বসে থাকলে এ ধরা সুবুজ হবে না। সবাইকে বাড়ির আশেপাশে গাছ লাগাতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy