Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Rampurhat murder

মা-ছেলে খুনে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, দু’জনকে ধরার পরে দাবি পুলিশের

শুক্রবার সকালে কানাচির আদিবাসীপাড়ায় বাসিন্দারা বাড়ির ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় বছর উনত্রিশের সুমি হাঁসদাকে ছটফট করতে দেখেন।

মা ছেলেকে খুনে ধৃত দুজন কে কোর্টে তোলা হচ্ছে।

মা ছেলেকে খুনে ধৃত দুজন কে কোর্টে তোলা হচ্ছে। ছবি:নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট  শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৪ ০৫:৫৩
Share: Save:

তরুণী মা ও সাত বছরের ছেলেকে খুনের পিছনে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানা গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। শুক্রবার মল্লারপুরের কানাচি আদিবাসীপাড়ার ওই ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে। পুলিশ জানায়, ধৃতরা হলেন বাবর শেখ ও চুমকা টুডু। পুলিশের দাবি, বাবর খুনের কথা স্বীকার করেছে। শনিবার ধৃতদের আদালতে হাজির করানো হলে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

শুক্রবার সকালে কানাচির আদিবাসীপাড়ায় বাসিন্দারা বাড়ির ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় বছর উনত্রিশের সুমি হাঁসদাকে ছটফট করতে দেখেন। সুমির ছেলে দীপক বা দীপু হাঁসদার নিথর দেহ ছিল। সুমিকে বাসিন্দারা রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ সুমি হাঁসদার মা লক্ষ্মী কিসকুর অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের করে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করে।

পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে জানা গিয়েছে সুমির স্বামী পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে ভিন্‌ রাজ্যে থাকতেন। ইতিমধ্যে কানাচি গ্রামের বাসিন্দা ৩০ বছরের বাবর শেখের সঙ্গে সুমির সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে জেনেছে পুলিশ। সেই সম্পর্কে আদিবাসীপাড়ার বাসিন্দা চুমকা টুডূ সহযোগিতা করত বলেও পুলিশের দাবি।

পুলিশ সূত্রে দাবি, সম্প্রতি সুমিকে ফোন করলে বেশির ভাগ সময় ফোন ব্যস্ত পেত বাবর। তা নিয়ে বাবরের সুমির উপরে সন্দেহ তৈরি হয় বলে জেনেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সুমির শাশুড়ি যে ঘরে নেই সেই খবর চুমকার মাধ্যমে জানতে পারে বাবর। পুলিশের দাবি, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ বাবর সুমির বাড়িতে আসে ও সুমির সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে।

পুলিশ সূত্রে খবর, আধঘণ্টা ঝগড়ার পরে বাবর বাড়িতে থাকা মুগুর জাতীয় ভারী কাঠের দণ্ড দিয়ে সুমির মাথায় আঘাত করে। সেই অবস্থাতেই সুমি চৌকিতে ঘুমিয়ে থাকা ছেলেকে কোলে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন বাবর আবার কাঠের দণ্ড দিয়ে সুমিকে আঘাত করে। ওই আঘাতে সুমির কোলে থাকা দীপুও গুরুতর জখম হয় ও কোল থেকে চৌকিতে পড়ে যায়। সুমিও ঘরের মেঝেতে পড়ে যায়।

পুলিশ জেনেছে, রাত বারোটা নাগাদ বাবর সুমির ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। বাবরকে মাড়গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে চুমকাকেও ধরে পুলিশ। শনিবার সকালে রামপুরহাট আদালতে নিয়ে আসার সময় বাবর খুনের কথা স্বীকারও করে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। রামপুরহাটের এসডিপিও গোবিন্দ শিকদার বলেন, ‘‘মা ও ছেলে খুনের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তেরা খুনের কথা স্বীকার করেছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Rampurhat Extra Marital Affair
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy