টলিউডে যেন বলিউডের ছায়া। সলমন খানের 'হিট এন্ড রান কেস'-এর বঙ্গীয় সংস্করণ! অভিযোগ, ভাইজানের মতোই মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে এক নিরীহ পথচারীর প্রাণ নিলেন ছোট পর্দার পরিচালক সিদ্ধান্ত দাস। টেলিপাড়া যাঁকে ভিক্টো দাস নামে চেনে। সোমবার আলিপুর কোর্টে দুপুর আড়াইটে নাগাদ পেশ করা হয় তাঁকে। আদালতের নির্দেশ, আগামী তিন দিন সেন্ট্রাল লকআপে থাকতে হবে তাঁকে। ১০ এপ্রিল আবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। প্রশাসনিক সূত্রে এই খবর জেনেছে আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার ভোর পর্যন্ত অভিনেতা আরিয়ান ভৌমিক, ঋ সেনগুপ্ত, স্যান্ডি সাহা এবং কার্যকরী প্রযোজক শ্রিয়া বসুকে নিয়ে পার্টি করেন অভিযুক্ত পরিচালক। ওই অবস্থাতেই গাড়ি চালান। অপ্রকৃতিস্থ থাকার কারণে ঠাকুরপুকুর থানা এলাকার এক বাজারে গাড়ি ঢুকিয়ে ছয় জন পথচারীকে জখম করেন। এঁদের মধ্যে দু'জনের চোট গুরুতর। তাঁদেরই এক জন রবিবার বিকেলে মারা যান। গ্রেফতার হন ভিক্টো। আটক করা হয় সান বাংলার কার্যকরী প্রযোজককে। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়ো অনুযায়ী, পুলিশের গাড়িতে ওঠার সময়েও বেসামাল ছিলেন ওই মহিলা কার্যকরী প্রযোজক। সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিলেন না। নেশার ঘোরে একাধিক বার পড়েও যান রাস্তায়! পরে পুলিশ ছেড়ে দেয় তাঁকে। সূত্রের খবর, সোমবার সকালে বৈঠকের পর তিনি কাজে ফিরেছেন।
রবিবারের এই ঘটনার জেরে সামাজিক পাতায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন টেলিপাড়ার একাংশ। আনন্দবাজার ডট কমের কাছে ক্ষোভ উগরে দেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, রূপা ভট্টাচাৰ্য, সাহেব ভট্টাচাৰ্য, তৃণা সাহা। ভাস্বর প্রশ্ন তোলেন, ‘‘নিরীহ পথচারীর মৃত্যুর দায় কি টেলিপাড়া নেবে?’’ রূপা সলমনের ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, ‘‘সলমন রাতে নিরীহ ফুটপাথবাসীর প্রাণ নিয়েছিলেন। ভিক্টো দিনের আলোয় গাড়ি চালিয়ে দিলেন বাজার করতে আসা নিরীহ পথচারীর উপর! ফারাক শুধু এটুকুই।’’