Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Biswabharati University

বিশ্বভারতীকে পাওনা অর্থ মেটাতে নির্দেশ 

অধ্যাপিকার আইনজীবী পুষ্পল চক্রবর্তী জানান, ৯ ডিসেম্বর বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, শুনানি চললেও আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ওই অধ্যাপিকার সমস্ত পাওনা টাকা মিটিয়ে দিতে হবে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সৌরভ চক্রবর্তী  
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:৫১
Share: Save:

সঙ্গীত ভবনের এক অধ্যাপিকার বর্ধিত ভাতা সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিল বিশ্বভারতী। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, আগামী সোমবারের মধ্যে ওই অধ্যাপিকার সমস্ত পাওনা অর্থ মেটাতে হবে। নচেৎ আগামী মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর কর্মসচিবকে সশরীরে উপস্থিত হতে হবে ডিভিশন বেঞ্চের সামনে।

অধ্যাপিকা শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী জানান, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতা করেছেন তিনি। ২০১৪ সালে তিনি বিশ্বভারতীর সঙ্গীতভবনে মণিপুরী নৃত্যের অধ্যাপিকা হিসেবে কাজে যোগ দেন। সেই সময় তিনি পাঁচটি বর্ধিত ভাতার আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁকে চারটি বর্ধিত ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজে যোগ দিতে বলা হয়। কিন্তু, এ বছর ১০ জুন বিশ্বভারতীর কর্মসমিতি সিদ্ধান্ত নেয়, ২০১৪ সাল থেকে ওই অধ্যাপিকাকে যে চারটি বর্ধিত ভাতা দেওয়া হয়েছে, তা কেটে নেওয়া হবে।

এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন অধ্যাপিকা। তার আইনজীবীরা আদালতে দাবি করেন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষিকাকে তার বক্তব্য জানানোর সুযোগ দেননি এবং কোনও শুনানি না-করেই বর্ধিত বেতন কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের উপরে স্থগিতাদেশ চান শিক্ষিকার আইনজীবীরা। এই আবেদনের ভিত্তিতেই বিশ্বভারতীর সিদ্ধান্তের উপরে গত ৩ আগস্ট স্থগিতাদেশ জারি করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সহিদুল্লা মুনশি। অধ্যাপিকার পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, এরই মধ্যে জুন মাস থেকে লকডাউনে বিশ্বভারতীতে না-থাকার কারণ দেখিয়ে ওই অধ্যাপিকার সম্পূর্ণ মাইনেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু ১৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যও রায় দেন, এই মামলার নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত শ্রুতিদেবীকে সমস্ত পাওনা টাকা দিতে হবে এবং কোনও টাকা পুনরুদ্ধার করা যাবে না। এই বিষয়ে বিশ্বভারতীর ফিনান্স অফিসারকে ওই অধ্যাপিকার সঙ্গে আলোচনার কথাও বলা হয়। কিন্তু সেই আলোচনা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি বলেই অভিযোগ অধ্যাপিকার ঘনিষ্ঠদের।

এর পরে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে বিশ্বভারতী। অধ্যাপিকার আইনজীবী পুষ্পল চক্রবর্তী জানান, ৯ ডিসেম্বর বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, শুনানি চললেও আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ওই অধ্যাপিকার সমস্ত পাওনা টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু, বুধবার এক সপ্তাহের সময় পেরিয়ে গেলেও পাওনা টাকা মেটানো হয়নি বলে অভিযোগ। পুষ্পলবাবু বলেন, “পাওনা টাকা না-মেটানোয় ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বিশ্বভারতী বেঞ্চের রায় মানতে বাধ্য। যদি সোমবারের মধ্যে তারা পাওনা টাকা না-মেটায়, তবে মঙ্গলবার কর্মসচিবকে ডিভিশন বেঞ্চের সামনে হাজিরা দিতে হবে।’’

বিশ্বভারতীর এক পদস্থ আধিকারিক জানান, রায়ের কপি হাতে না-পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।

অন্য বিষয়গুলি:

Biswabharati University Professor High Court Due
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy