গ্রামের স্কুলে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। তারপরই ছুটতে হয় অন্য গ্রামের স্কুলে। এই পরিস্থিতিতে গ্রামের স্কুলকেই উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উন্নীত করার দাবি তুলল স্থানীয় পড়ুয়ারা।
বাঁকুড়ার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা ওন্দার পুনিশোলের পড়ুয়ারা এই সমস্যা নিয়ে সম্প্রতি জেলা স্কুল পরিদর্শকের দ্বারস্থ হয়। পড়ুয়ারা জানাচ্ছে, গ্রামের পুনিশোল বোর্ড হাইস্কুলে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ার সুযোগ রয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক পড়তে গেলে গ্রাম থেকে অন্তত আট কিলোমিটার দূরের নেতাজি ভলাহিরাপুর উচ্চবিদ্যালয়ই তাদের ভরসা। এই পরিস্থিতিতে পুনিশোল বোর্ড হাইস্কুলে উচ্চমাধ্যমিক চালু করার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই তুলে আসছে স্থানীয় পড়ুয়ারা। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ হচ্ছে না।
সদ্য পুনিশোল বোর্ড হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েছে পুলিশোলের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম খান, আসনা খাতুন। নজরুল বলে, “এলাকায় উচ্চবিদ্যালয় না থাকায় মাধ্যমিকের পরেই গ্রামের বাইরের স্কুলে পড়তে যেতে হয়। এটা আমাদের কাছে একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। রাজ্য সরকার শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে বিভিন্ন জায়গায় নতুন স্কুল স্থাপন করছে। আমাদের শুধু দাবি, গ্রামের স্কুলেই উচ্চমাধ্যমিক চালু করা হোক।” আসনা খাতুনের কথায়, “উচ্চমাধ্যমিক স্কুল দূরে হওয়ায় আমাদের গ্রামের বহু মেয়েরই মাধ্যমিকের পরে আর পড়াশোনা করার সুযোগ হয় না। বাড়ির অভিভাবকেরা বাইরের স্কুলে মেয়েদের পাঠাতে চাইছেন না। এই পরিস্থিতিতে গ্রামের স্কুলে উচ্চমাধ্যমিক পড়াশোনা দ্রুত চালু করা উচিত।” স্কুলের তরফেও এর আগে লিখিত ভাবে জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিসে পুনিশোল বোর্ড হাইস্কুলকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উন্নীত করার আর্জি জানানো হয়েছে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুভাষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গ্রামের পড়ুয়াদের স্বার্থেই এই স্কুলে উচ্চমাধ্যমিকের পঠনপাঠন চালু হওয়া উচিত। সরকারি নিয়ম মেনে যত দ্রুত তা হয় ততই ভাল।”
জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পঙ্কজ সরকার জানান, ওই পড়ুয়াদের দাবি তিনি রাজ্য উচ্চমাধ্যমিক কাউন্সিলে জানিয়েছেন। বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে কাউন্সিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy