তপন কান্দু খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ফাইল ছবি।
ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের তদন্তভার সিবিআই-কে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশের পর ৩০ ঘণ্টা কেটে গেলেও ঝালদায় পৌঁছলেন না সিবিআই আধিকারিকরা। মৃত কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু বারবার সিবিআই তদন্ত চেয়ে এসেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি জানান, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে কেউ তাঁর সঙ্গে এ পর্যন্ত যোগাযোগ করেনি। তবে তিনি অপেক্ষায় রয়েছেন। এবং স্বামীর হত্যাকাণ্ডের পিছনে আসল দোষীদের যে সিবিআই খুঁজে ফেলবে সে ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।
মঙ্গলবার দুপুর ৩টে নাগাদ ঝালদা থানায় এসে পৌঁছন পুরুলিয়ার জেলা পুলিশসুপার এস সেলভামুরুগান-সহ বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট-এর সদস্যরা। যদিও সন্ধ্যা ৭টার পরে তাঁরা সবাই একে একে থানা থেকে বেরিয়ে যান। এ নিয়ে জেলা পুলিশসুপার বলেন, ‘‘সিবিআই এর তরফে চিঠি পেয়েছি। তার উত্তরও দিয়ে দিয়েছি।’’ তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল কখন আসবে সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে পূর্ণিমা কান্দুকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি শুনেছি, তাঁরা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে কাগজপত্র নিয়ে আগামিকাল আসতে পারেন।’’ এখনও পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে সিবিআই যোগাযোগ করেনি বলেও জানান তিনি।
গত ১৩ মার্চ সান্ধ্যভ্রমণে বেরিয়ে খুন হন ঝালদার নবনির্বাচিত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন। তাঁকে কাছ থেকে গুলি করে পালায় আততায়ীরা। এই খুনের ঘটনায় মৃতের দাদা এবং ভাইপো, যাঁরা ঘটনাচক্রে শাসক দলের প্রতিনিধি, তাঁদের দিকে আঙুল তোলেন তপনের স্ত্রী। তদন্তে নেমে পুলিশ জানায় রাজনৈতিক কারণ নয়, পারিবারিক কারণে খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর। তাঁর দাদা সুপারি কিলার দিয়ে ভাইকে হত্যা করান বলে জানায় পুলিশ। যদিও তপনের স্ত্রী তা মানতে নারাজ। এই প্রেক্ষিতে গত সোমবার কলকাতা হাই কোর্ট এই মামলার তদন্তভার তুলে দিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy