সাঁইথিয়ায় দেদার ফাটল চকোলেট বোমা। —অনির্বাণ সেন
ছটপুজো উপলক্ষে আলো, ফুল, বেলুন-সহ নানা উপকরণে সাজল ময়ূরাক্ষীর দু’পাড়। রবিবার সকালে নদীতে স্নান সেরে শুরু হয় সূর্যপুজো। দুপুর হতেই ঘাটগুলিতে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে। তুলনায় বেশি ভিড় ছিল ভাসা ব্রিজের পূর্ব দিকে। সূর্য ডোবার আগে পুজো সেরে বাড়ি ফেরা। ফের গভীর রাতে নদীতে যাওয়া। ওই রাতেই পুজোর শেষ পর্বের স্নান সেরে তবে ছটপুজোর সমাপ্তি পর্ব। একেবারে শেষে প্রসাদ খেয়ে উপবাস ভাঙা।
সোমবার রাত তিনটে থেকেই নদীর ঘাটগুলিতে ভিড় করতে থাকেন ভক্তেরা। সকালে নদীর ভাসাব্রিজের ঘাটে দেখা গেল ছয়ের পল্লির পুতুল সাহানি, পুজা সাহানি, বিজয় সাহানি, লছমি সাউ, সন্তোষ সাউ, লাউতোড়ের শিক্ষিকা পুষ্পা সাউদের। মাধুরী জয়সওয়াল, পুতুলদেবীদের কথায়, লাউভাত খেয়ে পুজোর সূচনা হয়। শনিবার সকাল থেকে না খেয়ে রাতে একবার ‘খারনা’ (দুধ, পায়েস ও কলা, রুটি) খাওয়া। রবিবার সকাল থেকে নির্জলা উপোস করে দুপুরে নদীঘাটে গিয়ে সূর্যদেবের আরাধনা শুরু।
এক কোমর জলে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলে সূর্যপ্রণাম। উমাশঙ্কর জয়সওয়াল, মহাবীর প্রসাদ জয়সোয়াল, সন্তোষ সাউ, মানিক সাউদের কথায়, ‘‘ছটপুজো উপলক্ষে পরিবারে অধিকাংশ মহিলা উপবাস করেন। অনেক পরিবারে অবশ্য পুরুষরাও উপবাস করেন।’’ অনেকের মতে, ছটপুজো আর শুধু বিহার কিংবা ঝাড়খণ্ডের লোকজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। দুর্গাপুজোর মতোই তা উৎসবে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যা সাহা, শান্ত্বনা ঘোষ মিত্রেরা জানালেন, গত কয়েক বছর ধরে তাঁরাও নিয়ম মেনে ছটপুজো করেন। পুজো দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেন ঘাটে। নিরাপত্তার খাতিরে পুলিশ-প্রশাসনের পাশাপাশি পুরসভার তরফেও স্বেচ্ছাসেবকদের রাখা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy