পরখ: মহিলাদের হাতে তৈরি সামগ্রী দেখছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। বোলপুরের নেতাজি বাজারে। নিজস্ব চিত্র
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতের কাজ দেখে গেল কেন্দ্রীয় সরকারের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার বোলপুরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন, হাতের কাজ দেখেন, সেই সঙ্গে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে আরও উন্নত মানের প্রশিক্ষণের আশ্বাস দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লীনা জহুরি এবং জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা নির্বাহ মিশনের স্পেশ্যাল সেক্রেটারি নীলাঞ্জনা দাশগুপ্ত চক্রবর্তী এ দিন সকালে বোলপুর সার্কিট হাউসে মহকুমাশাসক (বোলপুর) এবং বিডিও-দের সঙ্গে বৈঠক করার পরে বোলপুর নেতাজি বাজারে গ্রাম্য হস্তশিল্প বিক্রয় কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের তাঁদের হাতে তৈরি কাঁথা স্টিচ, উত্তরীয়, শাড়ি-সহ বিভিন্ন জিনিস দেখান। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝখানে এই কেন্দ্র নানা কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রসাসনিক উদ্যোগে মাস চারেক আগে সোসাইটিটি চালু করা হয়।
বর্তমানে ৩১৭০টি স্বনির্ভর দল এর আওতায় কাজ করছে। এর মধ্যে দু’হাজারেরও বেশি দল হস্তশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাই মূলত কাঁথা স্টিচের শাড়ি, চামড়ার ও জিন্সের ব্যাগ, বাটিকের পাঞ্জাবি, চাদর, পুতির গয়না প্রভৃতি তৈরি করে তা উপার্জনের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন। ঋণ নিয়ে উৎপাদন বাড়িয়ে মুনাফা অর্জন করতে শুরু করেছে স্বনির্ভর দলগুলি। আরও কিছু বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের কাছে মহিলারা আবেদন করেন। বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের মহিলা মহাসঙ্ঘের সম্পাদক ইয়াসমিন সুলতান বলেন, ‘‘বর্তমানে নানা ধরনের নতুন জিনিস ও নতুন ধরনের নকশা বাজারে এসেছে। তাই নকশার উপরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েদের প্রশিক্ষণ দেওয়া গেলে তারা নিজেরাই স্বনির্ভর হয়ে নতুন নতুন কাজ বাজারে আনতে পারবে।’’ এই প্রস্তাব শুনে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের যুগ্ম-সচিব ওই মহিলাদের আরও কিছু বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। লীনা জহুরি বলেন, ‘‘মহিলারা কী ভাবে হাতে কলমে কাজ করছেন, তা আমরা দেখতে এসেছিলাম। তাঁরা এখন হাতের কাজ শিখে ভাল রোজগার করছেন। আগামী দিনে আমরা এই সব মহিলাকে আরও উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’’ মির্জাপুরে রাইপুর মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কো-অপারেটিভ সোসাইটিতে যায় প্রতিনিধিদলটি। সেখানে ৫০৪টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নেয়। সেই দলগুলিকে আরও প্রশিক্ষণের কথা বলেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy