Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

শিলাবতী নদীর ‘জন্মদিন’, জমে উঠল মেলা

নদীরও জন্মদিন রয়েছে, মনে করে জেলা। প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তির দিন মেলা বসে হুড়ার বড়গ্রামের কাছে, শিলাবতী নদীর উৎসস্থলে। তিন দিনের মেলা। তবে ভাঙা মেলা রয়ে যায় প্রায় হপ্তাখানেক। 

হুড়ার বড়গ্রামে। নিজস্ব চিত্র

হুড়ার বড়গ্রামে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
পুঞ্চা শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:০৯
Share: Save:

নদীরও জন্মদিন রয়েছে, মনে করে জেলা। প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তির দিন মেলা বসে হুড়ার বড়গ্রামের কাছে, শিলাবতী নদীর উৎসস্থলে। তিন দিনের মেলা। তবে ভাঙা মেলা রয়ে যায় প্রায় হপ্তাখানেক।

পুরুলিয়ার সীমানা পার করে শিলাবতী চলে গিয়েছে বাঁকুড়া হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে। পুঞ্চা-পুরুলিয়া রাস্তায় বড়গ্রাম গ্রামের কাছে একটি কালভার্ট রয়েছে। সেখান থেকেই নদীর শুরু বলে মনে করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ মনে করেন, নদী পরিবারেরই মেয়ে। প্রবীণেরা জানাচ্ছেন, প্রবাদ রয়েছে— এখানে একটি আশ্রমে এক সময়ে এক সাধু থাকতেন। স্থানীয় এক জন মহিলা তাঁর টুকিটাকি কাজ করে দিতেন। সাধু তীর্থে যাবেন। সেই মহিলা তাঁর হাতে একটি পুঁটলি তুলে দিলেন। অনুরোধ করলেন, গঙ্গায় গিয়ে যেন ছুঁড়ে ফেলে দেন।

কথিত আছে, সাধু যখন সেই পুঁটলি ছুঁড়লেন, দেখলেন নদী থেকে উঠে এল দু’টি হাত। পুঁটলি নিয়ে আবার ডুবে গেল। এক রাশ বিস্ময় নিয়ে গ্রামে ফিরলেন তিনি। দেখলেন, দূর থেকে সেই মহিলা কাঁখে জল নিয়ে আসছেন। কিন্তু সাধুর ডাকতেই দৌড়তে শুরু করে দেন। হঠাৎ কলসি পড়ে গিয়ে গড়িয়ে গেল জল। অদৃশ্য হয়ে গেলেন সেই মহিলা। জনশ্রুতি হল, সেই কলসির জল থেকেই জন্ম নেয় শিলাবতী নদী।

এই প্রবাদ ঘিরে প্রতি বছর নদীর পাশে জমে ওঠে মেলা। মেলা পরিচালনা করার জন্য রয়েছে কমিটিও। চত্বরে রয়েছে দেবী শিলাবতীর মন্দির। পিছনে পুকুর। সেখানে নৌকা চালানো হয়। থাকে নাগরদোলা, হরেক কিসিমের দোকান। মন্দিরে এসে অনেকে শিলাবতীর মাটির মূর্তি দিয়ে যান।

অন্য বিষয়গুলি:

Shilabati River Fair Puncha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE