—প্রতীকী চিত্র।
উৎসবের মরসুমে আতশবাজি বিক্রি নিয়ে গত বছরের মতোই ‘কড়া’ অবস্থান বজায় রাখল রাজ্য সরকার। শনিবার সমস্ত জেলার আধিকারিকদের নিয়ে অনলাইন বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানান, গত বছরের মতোই সমস্ত নিয়ম মেনেই বাজি বিক্রির লাইসেন্সের আবেদন করতে পারবেন বিক্রেতারা।
এ বারও উৎসবের মরসুমে সাময়িক সময়ের জন্যই বাজি বিক্রির ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি। নির্দেশ মতো নিয়ম মেনে আবেদন করা ১৩ জন বিক্রেতাকে ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দিয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত মোট আবেদনের সংখ্যা ৪৯টি। এর মধ্যে কয়েক জনের আবেদনে পদ্ধতিগত ত্রুটি আছে। যা তাঁদের ইতিমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে জেলা জুড়ে শুধুমাত্র লাইসেন্স প্রাপ্ত বিক্রেতারাই পরিবেশবান্ধব আতশবাজি বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান জেলাশাসক বিধান রায়।
গত বছর রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোনও জনবহুল বাজার এলাকায় কোনও রকম বাজি বিক্রি করা যাবে না। দুর্ঘটনা এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানান হয়। পরিবর্তে কোনও ফাঁকা জায়গায় আলাদা ভাবে বাজির বাজার বসানো যাবে বলে জানায় প্রশাসন। সেই নির্দেশ মেনে গত বছর বাজি বিক্রির জন্য ২৭ জন আবেদন করেছিলেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
জেলাশাসক জানান, কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় নয়, শুধুমাত্র পুর এলাকাতেও নয়, গ্রামগঞ্জেও যেখানে দুর্গাপুজো হয় এবং বাজির চাহিদা আছে, সেখানেও কোনও একটি ফাঁকা জায়গা নির্বাচন করে কেউ যদি বাজি বিক্রি করতে চান, তার জন্য রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট অনলাইন পোর্টালে আবেদন করতে বলা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই এই আবেদনগুলি জমা পড়েছে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে তাঁদের দোকানের অবস্থান, আশেপাশের জনবসতি, দুর্ঘটনার আশঙ্কা সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে ছাড়পত্র দেবে স্থানীয় প্রশাসন, দমকল ও পুলিশ। যাঁদের বাজি বিক্রির লাইসেন্স ছিল, তাঁরা এই পোর্টালের মাধ্যমে লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ বা নতুন লাইসেন্সের আবেদনও করতে পারেন। তবে দু’টি ক্ষেত্রেই স্বল্পমেয়াদি লাইসেন্স দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০ দিনের জন্য লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। পরে বিক্রেতারা আরও ৩০ দিনের জন্য লাইসেন্সের সময়সীমা বাড়িয়ে নিতে পারেন। ব্যবসায়ীরা সর্বোচ্চ ৫০ কেজি পরিবেশবান্ধব বাজি মজুত করতে পারবেন। জেলাশাসক বলেন, “আমাদের এখানে বাজি তৈরির কারখানা নেই। তবে কয়েক জন বিক্রেতা বাজি বিক্রি করতে চেয়ে আবেদন করেছেন। উৎসবের মরসুমে পরিবেশবান্ধব বাজি বিক্রি হবে। বাজি বিক্রি থেকে যাতে কোনও ভাবে দুর্ঘটনা না-ঘটে তার জন্য সব দিক খতিয়ে দেখে তবেই বাজি বিক্রির ছাড়পত্র দেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy