অধ্যক্ষকে গ্রেফতারের দাবিতেে পথ অবরোধ। নিজস্ব চিত্র।
বাঁকুড়ার জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কে কে রাজোরিয়ার বিরুদ্ধে শিশু পাচার চক্র চালানোর অভিযোগ তুলে সরব হলেন এলাকার মানুষ। রবিবার ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের কালপাথর এলাকায়। অধ্যক্ষকে গ্রেফতারের দাবিতে জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের সামনে বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভ দেখানো হয় স্কুলের গেটেও। পরে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অধ্যক্ষকে বাঁকুড়া সদর থানায় নিয়ে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার দুপুরে। অভিযোগ, স্কুল লাগোয়া বাঁকুড়া-পুরুলিয়া জাতীয় সড়কের উপর একটি মারুতি ভ্যানে দু’টি শিশুকে জোর করে তোলার চেষ্টা করছিলেন জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কেকে রাজোরিয়া। সে সময় ওই ভ্যানের ভিতর বসেছিলেন দুই মহিলা। তাঁদের সঙ্গে গাড়ির মধ্যে বসেছিল আরও দু’টি শিশু। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় কালপাথর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুব্রত সাহানা চিৎকার করতে শুরু করেন। তাঁর চিৎকারে স্থানীয় বেশ কিছু মানুষ এবং তৃনমূল কর্মীরা ছুটে আসেন। তা দেখে পালিয়ে যান অধ্যক্ষ। স্থানীয়রা গাড়ির ভেতর থাকা দুই মহিলা ও মোট চার জন শিশুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। তাঁদের অসংলগ্ন কথাবার্তা বলায় সন্দেহ আরো দৃঢ় হয়। খবর পেয়ে সেখানে আসে পুলিশ। অধ্যক্ষকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি তুলে জাতীয় সড়ক কিছুক্ষণের জন্য অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখাতে থাকেন এলাকার বাসিন্দারা।
পঞ্চায়েতের প্রধান বলেছেন, “দিন কয়েক আগেই আমরা খবর পেয়েছিলাম কয়েকটি শিশুকে অধ্যক্ষ স্কুল চত্বরে থাকা আবাসনে এনে রেখেছেন । শিশুগুলির বয়স ৬ বছরের নীচে। এই বয়সের শিশুদের জওহর নবোদয় স্কুলে পড়ার কোনো সুযোগ নেই। অধ্যক্ষ নিজে শিশুদের জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করলে আমাদের সন্দেহ আরো দৃঢ় হয়। আমাদের ধারণা অধ্যক্ষ কোনো দুষ্ট চক্রের সঙ্গে যুক্ত।”
স্কুলের সামনে মারুতি ভ্যান থেকে আটক হওয়া দুই মহিলা জিজ্ঞসাবাদের মুখে নিজেদের মা এবং মেয়ে বলে পরিচয় দিয়েছেন। মা আসানসোলের হীরাপুর এলাকার। মেয়ে দুর্গাপুরের মেন গেট এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে থাকা চারটি শিশুকে নিজের সন্তান বলে পরিচয় দিয়েছেন এক মহিলা। ওই মহিলার দাবি, “আমি দুর্গাপুরের মেন গেট এলাকায় নিজের সন্তানদের নিয়ে থাকি। স্বামী এক বছর আগে অসুখে মারা গিয়েছেন। দিন কয়েক আগে এই স্কুলের অধ্যক্ষ আমাকে প্রস্তাব দেন দুই সন্তানকে তাঁর হাতে তুলে দিলে তিনি তাঁর স্কুলের হস্টেলে রেখে পড়াশোনা শেখাবেন। তাঁরা এখানেই রয়েছে। আমরা দেখতে এসেছিলাম কেমন রয়েছে। ফিরে যাওয়ার সময় ওই দুই সন্তানও আমাদের সঙ্গে ফিরতে চেয়ে কান্নাকাটি করছিল।আমরা কোনও দুষ্ট চক্রের সাথে যুক্ত নই।” অভিযুক্ত অধ্যক্ষ বলেছেন, “শিশুদের মা তাদের নিয়ে এসেছিল। আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy